গোমাতা কথা প্রচার করে দেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গোহত্যার চরম বিরোধী তাঁরা। বিশেষ ধর্মাবলম্বী মানুষদের গোমাংস ভক্ষণ একেবারেই ভালো চোখে দেখেন না তাঁরা। অথচ গোহত্যার নেপথ্যে উঠে এসেছে এমনই এক হিন্দু সংগঠনের নাম। যিনি রক্ষক তিনিই ভক্ষক। স্বয়ং যোগীরাজ্যের পুলিশই প্রকাশ করেছে সেই রিপোর্ট।
পুলিশি রিপোর্ট বলছে, স্রেফ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে। প্রায়শই গোহত্যা ইস্যুকে সামনে রেখে হিন্দু-মুসলিম বিবাদ চরমে পৌঁছায়। যা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল আগ্রার গৌতম নগর। সেখানে রাম নবমীর দিন গোহত্যার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দিকেই। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে বিস্ফোরক তথ্য আবিষ্কার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পুলিশি রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে গোহত্যার নেপথ্যে রয়েছে হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। জনপ্রিয় হিন্দু সংগঠন, ভারত হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র সঞ্জয় জাঠের নামই মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উঠে এসেছে। একইসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে ওই হিন্দু সংগঠনের আরও কিছু সদস্যের নাম। জানা গিয়েছে, তাঁরাই ওইদিন গোহত্যার পরিকল্পনা করেন। উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো। বাস্তবে হয়েছিলও তাই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জেরার পরই উঠে আসছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। হিন্দুনেতা সঞ্জয়ের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন হিন্দুনেতা সঞ্জয়। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও তুলেছেন। এ ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।