শনিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত প্রার্থী নিয়ে বার্তা দিলেন। তিনি বললেন “পঞ্চায়েত হবে মানুষের। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আলিপুরদুয়ার জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদে তাঁদেরই প্রার্থীই করবে তৃণমূল। কোনও নেতার কথায় কোনও প্রার্থী হবে না। আমি আবার এটা বলে যাচ্ছি। দরকার হলে আমি আপনাদের কাছে গিয়ে প্রার্থীর খোঁজ নেব। আপনারা আমাকে বলবেন সরাসরি।” তাঁর আরও প্রতিশ্রুতি, “কোন বুথে কাকে দেখতে চান, মানুষ ঠিক করবে। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই প্রার্থী। কারও পা ধরে লাভ নেই।” পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “সবাই ভোটে দাঁড়াবে। যার যাকে খুশি ভোট দেবেন। পঞ্চায়েতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে।” একইসঙ্গে এদিনের সভা থেকে কেন্দ্র তথা বিজেপিকে কড়া সুরে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এরা শুধুমাত্র তৃণমূলের শত্রু নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রু নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রু নয়। এরা বাংলার শত্রু, আলিপুরদুয়ারের শত্রু, আপনার শত্রু, কৃষকের শত্রু, শ্রমিকের শত্রু, ছাত্রর শত্রু, যুবর শত্রু… সবার শত্রু। গায়ের জোরে টাকা আটকে রেখেছে।” অভিষেকের অভিযোগ, “বিজেপির প্রতিনিধিরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখে আপনাদের টাকা আটকে রেখেছে। ওদের সঙ্গে যেখানে দেখা হবে হাতজোড় করে তাঁদের প্রশ্ন করুন, কোথায় আমাদের ১০০ দিনের টাকা? কোথায় আমাদের আবাসের টাকা?” একইসঙ্গে সরব হয়ে তিনি বলেন, ওরা আচ্ছে দিন আনেওয়ালে হ্যায়। আজ সরষের তেলের দাম দু’শো টাকা। জয় শ্রীরাম বললে তেল ফ্রিতে পাওয়া যায় না। বালাকোটের নামে বিজেপি ভোট চেয়েছে। ‘হিন্দু খতরে মে’ বলে ভোট চেয়েছে। আর কোনও দিন জাতি, ধর্ম আর ভাঁওতাবাজির কথা শুনে এদের ভোট দেবেন না।