২০ হাজার ক্যাম্পের মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যের “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি। এর মাধ্যমে মানুষ সরকারি প্রকল্পের তাঁর সব রকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তার ওপরে সম্পূর্ণ নজরদারি রাখা হবে বলে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। নবান্নে আজ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই কর্মসূচি রূপায়ণে গঠিত রাজ্য স্তরের সর্বোচ্চ কমিটির চেয়ারম্যান আলাপন বাবু বলেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থসচিবকে নিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাঁরা এই বিষয়ের ওপর নজর রাখবেন। মুখ্যসচিব জানান, এই সব সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিতরা যাতে ঠিকমতো পরিষেবা পান, তার জন্যই তাঁদের সকলকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভার ওয়ার্ড স্তরে এর জন্য শিবিরের আয়োজন করা হবে। স্থানীয় কোনও স্কুল বা কলেজের ভবন বা কমিউনিটি সেন্টারে এই সব শিবিরগুলি চলবে। সরকারের ১০টি প্রকল্পকে এই যোজনার আওতায় রাখা হয়েছে– স্বাস্থ্য সাথী, শিক্ষাশ্রী, খাদ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, কাস্ট সার্টিফিকেট, তফসিলি বন্ধু, জয় জহর ও একশ দিনের কাজ। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চারটি ধাপে রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করা হবে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেতে হলে অর্থাৎ নগদ বিহীন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর এবং পৌর ওয়ার্ড স্তরে আয়োজিত ক্যাম্পে আসতে হবে। প্রথম রাউন্ডে কেউ এসওপি নিয়ে এলে দ্বিতীয় রাউন্ডেই কার্ড পেয়ে যাবেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে এসওপি দিলে তৃতীয় রাউন্ডে কার্ড পাবেন। তিনি জানান, জাতিগত শংসাপত্রের জন্য ক্যাম্পে এসে আবেদন করা যাবে। তা ছাড়া জয় জোহর এবং তফসিলি বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আদিবাসী উন্নয়ন দফতর এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আদিবাসী, এবং দলিত সম্প্রদায়ের কোনও বর্ষীয়ান নাগরিক যিনি আর কোনও সরকারি আর্থিক সুবিধা পান না, তাঁকে মাসিক ১০০০ টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, খাদ্য সাথী সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার জন্যও এই ক্যাম্পে আবেদন যাবে। নাম ঠিকানা সংশোধনও করা হবে।