ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স । এই অবস্থায় এমপক্সের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল। গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সে ১৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হু। এর আগে ২০২২ সালে মাঙ্কি বক্স বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বের ১১৬টি দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।আর এবার ২০২৪ সালে ফের মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল হু। তবে এবারের মাঙ্কি পক্সের প্রকোপ ২০২২ সালের থেকে বেশি। মূলত ১৫ বছরের কম বয়সি মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের প্রাদূর্ভাব বেশি। এই রোগটি এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। কঙ্গো, বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডা সহ আফ্রিকার অনেক দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে বলে হু এর তরফে জানানো হয়েছে। বর্তমানে এর নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া, মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডোজের সরবরাহ বর্তমানে মহাদেশে কম আছে। তা উদ্বিগ্ন হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে মাঙ্কিপক্সের বেশি ঘটনা ঘটেছে। আফ্রিকায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৪ অগস্টের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের ৩৮,৪৬৫ টি ঘটনা ঘটেছে এবং ১৪৫৬ জন মারা গিয়েছে। পক্সের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা এটি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডঃ টেড্রোস আধানম জানান, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক স্তরে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আফ্রিকান দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে বিশাল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত। সেখানকার মানুষ প্রায়ই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যান। ফলে এতে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।