মধ্যপ্রদেশের দামো জেলায় স্কুলের সহপাঠীদের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, গণধর্ষণের ভিডিয়ো-ছবি তুলে নাগাড়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল সেই ছাত্রীকে। আতঙ্কিত নির্যাতিতা এর জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে মৃত্যুর আগে মায়ের কাছে চার সহপাঠীর নাম এবং তার সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের ঘটনাও জানিয়ে যায় সে। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার চার সহপাঠীর নাম জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ছাত্রীর বাবা পুলিশকে জানান, গত সোমবার স্কুল ছুটির পরে তাঁর মেয়েকে জোর করে নির্জন জায়গায় নিয়ে গণধর্ষণ করে ওই চার সহপাঠী। আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে জানালে গণধর্ষণের ভিডিয়ো-ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ছাত্রীকে। পুলিশ জানায়, সোমবারের ওই ঘটনার কথা ছাত্রী তার মাকে জানায় মঙ্গলবার। মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনেও পরিবারের লোকজন বিতর্ক এড়াতে পুলিশে প্রথমে অভিযোগ জানাতে যাননি। কিশোরীও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সে স্কুলে যায়নি। তার বাবাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীর অনুপস্থিতির কথা জানান। মেয়ে স্কুলে যায়নি শুনে বাবা সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান। দরজা ভেঙে মেয়ের ঘরে গিয়ে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এর পরেই পুলিশে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার ছাত্রীর বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত চার সহপাঠীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে তারা এখনও ধরা পড়েনি। এই ঘটনায় পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চার অভিযুক্তের সন্ধান চলছে। তারা কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ। কিশোরীর পরিবার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।