সংবিধান সংশোধন করে সংখ্যালঘুদের কোনও অধিকার খর্ব করবে না সরকার ৷ এতদিন তাঁদের যে সমস্ত অধিকার ছিল তা আগামিদিনেও বহাল থাকবে ৷ সংখ্যালঘুরা কোনওভাবেই বঞ্চিত হবেন না ৷ এমনই দাবি বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ৷ সোমবার ঢাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের প্রধান স্টিফেন শ্যাঙ্ক ৷ বৈঠকে ইউনূস জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য তাঁর সরকার কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে ৷ শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের সামজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক-সহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা শোনা গিয়েছে ৷ ইউনূসরা সংবিধানের সংশোধনও করছেন ৷ তার জন্য নির্দিষ্ট কমিশনও তৈরি হয়েছে ৷ এই বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে ৷ ইউনূস বলেন, “প্রস্তাবিত বিভিন্ন পরিবর্তনকে বাস্তবায়িত করতে সংবিধান কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করছে ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই সংবিধানের সংশোধন করা হবে ৷ তবে এই সংশোধনের ফলে সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা হবে না ৷ এতদিন যে সমস্ত অধিকার তাঁরা ভোগ করতেন এখনও সেটাই করবেন ৷ সংখ্যালঘুদের কোনওভাবেই বঞ্চিত করা হবে না ৷ ” বৈঠকে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বিষয়টিও উঠে আসে ৷ ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়েন ৷ এরপর থেকে হিন্দু -সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের ঘটনাও বেড়েছে ৷ তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত ৷ গত এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডে হওয়া বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ৷ তাঁকে আশ্বস্ত করেন ইউনূস ৷ এদিনও সেই বার্তাই দেন তিনি ৷ প্রধান উপদেষ্টার কথায়, “দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ আমাদের সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে ৷ আমরা চাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিকরা বাংলাদেশে আসুন ৷ তাঁদের থেকেই দুনিয়া জানুক, এখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা কেমন আছেন ৷ “


