মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৯২/৭ (সূর্যকুমার ৭৮, রোহিত ৩৬, হর্ষল প্যাটেল ৩১/৩)
পঞ্জাব কিংস: ১৮৩/১০ (শশাঙ্ক ৪১, আশুতোষ ৬১, বুমরাহ ২১/৩)
৯ রানে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চলল টানটান লড়াই । কিন্তু ঘরের মাঠে পরাজিত হল পঞ্জাব কিংস। রীতিমতো কষ্ট করে ৯ রানে জয় পেল মুম্বই। লিগ তালিকায় বড়সড় বদল না এলেও প্লে অফের লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। এদিন পাঞ্জাবের মুল্লানপুরে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কুরান। ম্যাচের প্রথম থেকেই পঞ্জাব বোলারদের শাসন করা শুরু করেন রোহিত শর্মা (৩৬)। ঈশান কিষাণ (৮) দ্রুত ফিরে গেলেও ভারত অধিনায়কের ব্যাট থামেনি। প্রিয় পুল শট মারতেও দেখা গেল তাঁকে। সূর্যকুমার যাদব (৭৮) এদিন নামলেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে। আর সূর্যের কিরণে জ্বলে গেল পঞ্জাবের বোলিং আক্রমণ। চেনা ছন্দেই মাঠের সব দিকে বল মারলেন টি-টোয়েন্টির এক নম্বর তারকা। তাঁরা দুজন ফিরে গেলেও রানের গতি থামেনি। বাকি কাজটা এগিয়ে নিয়ে যান তিলক বর্মা (৩৪) আর টিম ডেভিড (১৪)। দুজনের স্ট্রাইক রেটই প্রায় ২০০-র কাছাকাছি। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া (১০) এদিনও ব্যর্থ হলেন। কিন্তু তাতেও স্কোরবোর্ডে ১৯২ রান উঠল। মুল্লারপুরের স্টেডিয়ামে গড় রান ওঠে ১৮০-র আশেপাশে। ফলে বড় লক্ষ্য থাকলেও একেবারেই অসম্ভব ছিল না। কিন্তু পঞ্জাব কিংস প্রথম থেকেই আত্মসমর্পণ করে বসল। চোটের জন্য শিখর ধাওয়ান নেই। অফ ফর্মের জনি বেয়ারস্টোকে এদিন খেলায়নি পাঞ্জাব। ওপেন করতে এলেন স্যাম কুরান (৬) আর প্রভসিমরন সিং (০)। কিন্তু বুমরাহ (২১/৩) আর কোয়েৎজের (৩২/৩) বোলিং জুটির সামনে সবাই একের পর এক ফিরে গেলেন। গতির হেরফর আর সুইংয়ের মিশ্রণে পঞ্জাবের ১৪ রানে ৪ উইকেট ফেলে দিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ফিরে আসাটা মুশকিল ছিল। কিন্তু লড়াই চালিয়ে গেলেন শশাঙ্ক সিং (৪১)। যিনি এবার প্রতি ম্যাচেই পঞ্জাবকে ভরসা জোগাচ্ছেন। শেষ দিকে একা তাণ্ডব দেখালেন অভিষেক শর্মা। চলতি আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার বলা যেতে পারে তাঁকে। ২৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে মুম্বইয়ের হাত থেকে জয় প্রায় ছিনিয়ে এনেছিলেন পঞ্জাব ব্যাটার। কিন্তু কোয়েৎজের বলে তিনি ফিরে যেতেই হাসি ফুটল হার্দিক পাণ্ডিয়ার মুখে। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবের ইনিংস থামল ১৮৩ রানে। ৯ রানে জিতল মুম্বই। দলে মহম্মদ নবি, টিম ডেভিডের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আছেন। অথচ তিনি ধারাবাহিক ভাবে বল করিয়ে গেলেন রোমারিও শেফার্ড আর মাধওয়ালকে। দুজনেই অকাতরে রান দিলেন। মার খাচ্ছেন জেনেও ভুল লাইন-লেংথে টানা ৪ ওভার বল করে গেলেন হার্দিক। দিলেন ৩৩। অভিষেক-শশাঙ্কের দাপটে অসহায় অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত ১৩ তম ওভারে বুমরাহকে ফেরাতে বাধ্য হলেন। আঠারো ওভারে আনতে হল কোয়েৎজকে। দুজন সঠিক সময়ে দুই পঞ্জাব ব্যাটারকে না ফেরালে এদিনও খালি হাতেই ফিরতে হত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে।