মায়ানমারে সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩। নিহতদের অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও নিরীহ মানুষের ওপরে হামলা চালানোর জন্য মোটেও অনুতপ্ত নয় মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। মায়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন দাবি করেছেন, ‘সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরতদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। তাতে কিছু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হলেও হতে পারে।’ বৃহস্পতিবার সকালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সকালে সাগাইংয়ের কান্ত বালু এলাকায় সামরিক জুন্টা সরকারের বিরোধী একটি সংগঠনের অনুষ্ঠান চলার সময়ে আচমকাই বিমান থেকে হামলা চালায় মায়ানমার সেনাবাহিনী। প্রথমে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিলের সারি। গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়নি।’ ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি শান্তিতে নোইবেল জয়ী আউং সু চি’র সরকারকে বরখাস্ত করে দেশের ক্ষমতা দখল করে মায়ানমার সেনাবাহিনী। আর তার পরেই গণতন্ত্রপন্থীদের দমনের নামে নারকীয় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সামরিক জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা রক্ষীরা। ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। কয়েক হাজার নিরীহ নাগরিককে জেলে পোরা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং মাও মিনের কথায়, ‘বিমান হামলা চালিয়ে অসহায় নারী, শিশুদের হত্যা করে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার সব ধরনের সীমা লঙ্ঘন করেছে।