মহারাষ্ট্রে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস জোট। একনাথ শিন্ডে থেকে দেবেন্দ্র ফডণবীশের-উপরেই আস্থা রেখেছেন মরাঠা জনগণ। মহারাষ্ট্রে পদ্ম শিবিরের এই অভূতপূর্ব ফলের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নরেন্দ্র মোদি। জয়ের পর ভাষণে তিনি বলেন, “আজ মহারাষ্ট্রে উন্নয়ন মডেলের জয় হয়েছে। সুশাসনের জয় হয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে। ছলনা ব্যর্থ হয়েছে। আজ নেতিবাচক রাজনীতি পরাজিত হয়েছে।” এরপরেই ঠাকরে পরিবারকে নিশানা করেন মোদি। এই ভোটে কার্যত শক্তি হারিয়েছে মহারাষ্ট্রের অন্যতম চালিকাশক্তি ঠাকরে পরিবার। উদ্ধব ঠাকরে থেকে রাজ ঠাকরে হালে পানি পাননি কেউই। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ স্বজনপ্রীতি পরাজিত হয়েছে। আজ মহারাষ্ট্র উন্নত ভারতের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করেছে।” মহারাষ্ট্রের এই জয়ের পিছনে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিলেন একনাথ শিন্ডে, দেবেন্দ্র ফডনবীশ, অজিত পাওয়ারেরা। তাঁদেরও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি একনাথ শিন্ডে, দেবেন্দ্র ফডনবীশ, অজিত পাওয়ারেরও প্রশংসা করছি।” এরপরেই গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গে তোলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “আজ অনেক রাজ্যে উপনির্বাচনের ফল এসেছে। লোকসভার আসন আরও বেড়েছে। ইউপি, উত্তরাখণ্ড ও রাজস্থানের মানুষ বিজেপিকে জোরালো সমর্থন দিয়েছে। আসামের মানুষ আবারও বিজেপির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। মধ্যপ্রদেশেও সাফল্য এসেছে। এতে আমরা অভিভূত।” মহারাষ্ট্রের জয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিগত ৫০ বছরে, কোনও দল বা প্রাক-নির্বাচনী জোটকে মহারাষ্ট্রে এত বড় জয় এনে দেয়নি। মহারাষ্ট্রের মানুষ কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীদের চেয়ে এককভাবে বিজেপিকে বেশি আসন দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে সুশাসনের ক্ষেত্রে দেশ বিজেপিকে বিশ্বাস করে।” মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড় বইলেও, ঝাড়খণ্ডে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “আমি ঝাড়খণ্ডের মানুষকেও প্রণাম জানাচ্ছি। ঝাড়খণ্ডের দ্রুত উন্নয়নের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করা হবে।” ভোটের আগে অনৈতিক নানা ইস্যুতে ভোট ভাগের অভিযোগ তুলেছিল পদ্মশিবির। কখনও তা সংরক্ষণ ইস্যু নিয়ে আবার কখনও তা ওবিসিকে ভাগ করা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়, আজ এটাই হয়ে উঠেছে দেশের মহামন্ত্র। আজ এটাই হয়ে উঠেছে দেশের মহামন্ত্র। আজ এটাই হয়ে উঠেছে দেশের মহামন্ত্র। জাতি ধর্মের নামে রাজনীতি করা লোকেদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মানুষ।