দেশ

আচমকা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে শরদ পওয়ারের বৈঠক ঘিরে জল্পনা

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। বৃহস্পতিবার আচমকাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হাজির হন মরাঠা স্ট্রংম্যান। দুজনের মধ্যে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে চলে বৈঠক। শিন্ডের সঙ্গে পওয়ারের বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। দুই পক্ষই এদিনের সাক্ষা‍ৎকারকে সৌজন্য সাক্ষা‍ৎকার হিসেবে বর্ণনা করেছে। যদিও তাতে জল্পনায় ইতি ঘটছে না। গত বছর ত‍ৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শিন্ডে। দলের অধিকাংশ বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোটের মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিলেন। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হাসিল করেন এক সময়ে ঠাকরে পরিবারের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে পরিচিত শিন্ডে। প্রায় বছর খানেক হতে চলল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন শিন্ডে। কিন্তু এদিনই প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন মরাঠা রাজনীতির পোড়খাওয়া নেতা হিসেবে পরিচিত শরদ পওয়ার। সূত্রের খবর, নিজের ভাইপো অজিত পওয়ারের মতিগতির ওপরে খুব একটা ভরসা রাখতে পারছেন না এনসিপি সুপ্রিমো। দল ভাঙিয়ে বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে অজিত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন পওয়ার। তাই বিকল্প সমীকরণ গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন মরাঠা স্ট্রংম্যান। পাশাপাশি বিজেপির বিমাতৃসুলভ আচরণে শিন্ডে শিবিরের ২২ বিধায়ক ও ৯ সাংসদও যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপি সুপ্রিমোর বৈঠকের পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।