কলকাতা

করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রাজ্যের ৯ বাসিন্দার মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের হতাহত যাত্রীদের নাম। প্রাথমিক ভাবে শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, বাংলার ৯জন প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে ৬জন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী ব্লকের উত্তর মোজামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। আবার হাওড়া জেলার ৩জন বাসিন্দার প্রাণও গিয়েছে দুর্ঘটনায় সেই খবরও এসেছে। এর বাইরেও ৪জন নিখোঁজ রয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যে ৬জন মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের ৩ ভাইও রয়েছে। এরা হলেন হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন। এদের বাড়ি উত্তর মোজামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছড়ানেখালী গ্রামে। সেখানে এখন কান্নার রোল উঠেছিলেন। এরা সকলেই চেন্নাই যাচ্ছিলেন কাজে যোগ দিতে। তাঁদের সঙ্গে সফর করছিলেন যারা তাঁদের মধ্যেও ৩জন মারা গিয়েছেন। এরা হলেন বিকাশ হালদার, সঞ্জয় হালদার ও সমর সরদার। এদের মধ্যে বিকাশ ও সঞ্জয়ের বাড়ি ছড়ানেখালী গ্রামে। সমরের বাড়ি আমড়াতলা গ্রামে। হাওড়া জেলার যে ৩জন বাসিন্দার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে তাঁদের পরিচয় অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে তাঁদের বাড়ি শ্যামপুর, নলপুর ও পাঁচলায় সেটা জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে ৪জন ব্যক্তির কোনও খোঁজ মিলছে না বলেই জানা গিয়েছে। এরা হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মইপীঠের বাসিন্দা তপন দাস, মালদা জেলার চাঁচলের বাসিন্দা মাসরেকুল আলম, পূর্ব বর্ধমান জেলার কুমিরখোলা গ্রামের বাসিন্দা সাফিক কাজি ও ওই জেলারই দেবগ্রামের বাসিন্দা সফিক শেখ। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের ৯০জনেরও বেশি বাসিন্দা এই দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সকালেই ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে করে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। যাওয়ার আগে তিনি জানিয়েছেন নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুল খোলা হয়েছে। সেখানে কন্ট্রোল রুমের নেতৃত্বে প্রতি শিফটে থাকবেন একজন করে IAS অফিসার। তাঁদের নেতৃত্বে এক একটি শিফটে ১০ জন করে থাকবেন। সেই সঙ্গে প্রতি শিফটে থাকবেন এক জন করে WBCS অফিসার, একজন বা দুজন করে Disaster Management অফিসার এবং ৮ জন ভলেন্টিয়ার। গতকাল সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নবান্নের বিশেষ কন্ট্রোল রুমে ৮৯জন নিখোঁজ যাত্রীর পরিবার পরিজনেরা ফোন করেছেন। সেই সঙ্গে বহু মানুষ প্রতিটি জেলার কন্ট্রোল রুমে ফোন করছেন। মূলত জেলাশাসকের অফিসে। তাই প্রতিটি জেলাশাসকের অফিসের থেকে নবান্নে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।