দেশ

লাদাখের সঙ্গে জুড়ছে শ্রীনগর, জোজি লা সুড়ঙ্গের কাজ দ্রুত শেষ করবে কেন্দ্র

ভারত-চিনের সংঘাত সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই দ্রুত জোজি লা ও জেড মোড় টানেলের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই জোজি লা টানেল লাদাখের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ড শ্রীনগরকে সংযুক্ত করবে। এতদিন আকাশপথ ছাড়া এই দুই ভূখণ্ডের যোগাযোগ সম্ভব ছিল না। এই টানেলের কাজ শেষ হলে সড়ক পরিবহন তো বটেই লাদাখের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর সামরিক সরঞ্জাম ও অন্যান্য রসদ পৌঁছে দেওয়ার কাজও অনেক সহজ হয়ে যাবে। এবার সেই সমস্যা মিটবে। সেই সঙ্গে সাড়ে ৩ ঘন্টার পাহাড়ি পথ পার হওয়া যাবে জোজি লা সুড়ঙ্গ দিয়ে লাগবে মাত্র ১৫ মিনিটে। আজ জোজি লা প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তার পরে ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এই জোজি লি সুড়ঙ্গের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হলেও নানা কারণে থমকে যায়। পরে নতুন করে দরপত্র ডেকে এই প্রকল্পের বরাত পায় হায়দরাবাদের ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার’। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু এখন লোকসভা ভোটের আগেই এই টানেলের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই জোজি লা টানেল তৈরির কাজ শেষ করা হবে। এখন এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত জোজি লা। এটি শ্রীনগর থেকে লেহ-তে যাওয়ার ১ডি নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর অবস্থিত একটি গিরিবর্ত্ম। এখানে শীতের সময় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের এতটাই নীচে নেমে যায় যে গোটা এলাকা পুরু বরফের স্তরে ঢেকে যায়। ফলে নবেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মাস ছয়েক সড়কপথে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে লেহ-লাদাখের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অথচ এই গিরিবর্ত্মই কাশ্মীর ও লাদাখের মধ্যে সংযোগ রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে। সোনমার্গ থেকে এর দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। জোজি লা টানেল তৈরি হলে পাহাড়ি পথে কাশ্মীর থেকে লাদাখ যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভৌগোলিক কারণে পাকিস্তান ও চিন সংলগ্ন এই এলাকায় দীর্ঘ ৬ মাস সেনা জওয়ানদের কাছে যুদ্ধট্যাঙ্ক, খাবার, রেশন, সামরিক সরঞ্জাম, ওষুধপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। ভরসা শুধু আকাশপথ, যাতে বিপদের ঝুঁকি অনেক বেশি। এই টানেল সেখানে অনেক মুশকিল আসান করবে। সীমান্তে।