দেশ

কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মতো প্রমাণ নেই, জানাল দিল্লি পুলিশ !

বিজেপি সাংসদ এবং ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতার করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই, জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ । কুস্তিগিরদের দাবি সমর্থন করে, এমনও কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। রাজধানীর পুলিশের তরফে এক সূত্র বললেন, এখনও পর্যন্ত, আমরা ব্রিজভূষণ সিংকে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ পাইনি। ১৫ দিনের মধ্যে আমরা আদালতে আমাদের রিপোর্ট দাখিল করব। তা চার্জশিট বা চূড়ান্ত রিপোর্ট আকারে হতে পারে। কুস্তিগিরদের দাবি প্রমাণ করার জন্য কোনও সহায়ক প্রমাণ নেই।  রিপোর্টে এও বলা হয়, পকসো আইনের যে ধারাগুলো এফআইআরে রয়েছে তাতে সাত বছরের কম কারাদণ্ড হয়, কাজেই তদন্তকারী অফিসার গ্রেফতার করতে পারেন না। তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করছেন না আর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করছেন না।  এদিকে দিল্লি পুলিশের এই রিপোর্টকে চূড়ান্ত রিপোর্ট বলে চালাচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যম। তা নিয়ে বলা হল, এই খবর একেবারেই মিথ্যে। তদন্ত এখনও চলছে এবং তা শেষ হওয়ার পরেই আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।  এদিকে ফের গর্জন করলেন মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ। বুধবার তিনি বললেন, আমার বিরুদ্ধে যদি একটা অভিযোগও প্রমাণিত হয় তবে নিজেকে ফাঁসি দিয়ে দেব। আপনাদের (কুস্তিগিরদের) কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে তাহলে আদালতে পেশ করুন। যে কোনও শাস্তি পেতে প্রস্তুত।  এদিকে মঙ্গলবার এক দীর্ঘ টুইট করে সাক্ষী মালিক জানান, এদেশে তাঁদের জন্য কিছু পড়ে নেই। আত্মসম্মান বাঁচাতে এতদিনের পরিশ্রম করে জেতা পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন তাঁরা। সেই মতো কাল হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটে হাজির হন। মোক্ষম সময়ে এসে পদক বিসর্জন আটকান নরেশ টিকাইত সহ বেশ কিছু কৃষক নেতা। তা নিয়েই কি কটাক্ষ করলেন ব্রিজভূষণ! তিনি বলেন, আজ ওরা পদক গঙ্গায় ভাসাতে গিয়েছিল, কিন্তু পরে সেসব টিকাইতের হাতে তুলে দেয়। এটা ওদের অবস্থান, আমরা কী করতে পারি?  আগাগোড়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন ছ’ বারের বিজেপি সাংসদ। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিষয়টি দিল্লি পুলিশের তদন্তাধীন। অভিযোগের যদি কোনও রকম সত্যতা থাকে, গ্রেফতার করা হবে। তাঁর কথাবার্তায় ঝরে পড়ছে আত্মবিশ্বাস, যেন তিনি জানেন, তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই প্রমাণ করা যাবে না।