কলকাতা

৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে সমস্ত বইপ্রেমীদের ‘বই শুভেচ্ছা’ জানান তিনি। জানান, এই বইমেলা শুধু বইয়ের মেলাই নয়, বটবৃক্ষের মতো। যা ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারাবাহিকতাকে বয়ে নিয়ে চলেছে। এ বইমেলা প্রত্যেক বইপ্রেমীর গর্ব। একই সঙ্গে নতুন লেখক, লেখিকাদেরও উৎসাহিত করেন তিনি। তাঁর বার্তা, প্রত্যেক লেখকের সৃষ্টিই স্বকীয়তায় সম্পূর্ণ। তাই এখানে কোনও ভেদাভেদের স্থান নেই। এ বারের বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি জার্মানি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক আজকের নয়। এ যোগ বহু পুরোনো। মমতা বলেন, ‘ভারত মায়ের বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে জার্মানির গভীর যোগ ছিল। তাঁর মেয়ে অনিতা সেখানে থাকেন। অনেক আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক।’ বইমেলায় যেমন প্রচুর নামকরা লেখকের বই থাকে, একই ভাবে তুলনামূলক ভাবে অপরিচিত বা নতুন লেখকের লেখাও প্রকাশিত হয়। এ দিন সেই সমস্ত নতুনদের উৎসাহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘অনেকে বলেন উনি ছোট লেখক, উনি বড় লেখক। কিন্তু ভুললে চলবে না, অনেক ছোট লেখক-লেখিকাদের হাত দিয়েও অনেক সুন্দর লেখা বেরোয়। বই মানে বই-ই। এখানে কোনও ভেদাভেদের জায়গাই নেই।’ এই বিশাল আয়োজনের জন্য পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দেকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, একবার আমায় বাদ দিন। ওরা বলল, না হবে না। আসলে দেশের বইমেলাগুলির মধ্যে কলকাতা বইমেলা অন্যতম সেরা বইমেলা। আমি চাই, এই বইমেলা সেরার মধ্যে সেরা বইমেলা হোক।’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডিজিটালের যুগেও গত বছর প্রায় ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বইমেলা থেকে। গত বার ২৭ লক্ষের বেশি মানুষ এসেছিলেন। এবারও রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে, আশাবাদী মমতা। এ দিন বইমেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি জাগো বাংলা, কলকাতা পুলিশের স্টলও ঘুরে দেখেন তিনি।