এখন কলকাতা ও আশপাশের রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যাটা থাকে আড়াই হাজারের আশপাশে। রবিবার ছুটির দিন তা আরও কমে যায়, ৫০ শতাংশ থেকে সেটা কমে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশে। আবার এখন কাজের দিনে সন্ধ্যার পর বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কোনও কোনও রুট সম্পূর্ণ বাসশূ্ন্য হয়েও পড়ছে। বাস মালিকদের অনেকেরই বক্তব্য, পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রীর অভাবই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আবার এই পরিস্থিতির মধ্যেও পুলিশ রিকুইজিশন দিয়ে বাস তুলে নিয়ে পুজোর ডিউটিতে কাজে লাগাবে, এই আশঙ্কায় বহু বাস মালিক নানা অজুহাত দেখিয়ে রুটে বাস নামাচ্ছে না। লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোয় পুলিশের জন্য প্রায় ৮০০ বাস-মিনিবাসের রিকুইজিশন করা হয়। সেই জন্য পুলিশ বাস পিছু দৈনিক ৮০০ টাকা এবং চালক ও খালাসির খাওয়া-খরচ বাবদ ৪০ টাকা দেয়। আর বাস পিছু দৈনিক জ্বালানি দেওয়া হয় ২০ লিটার। তবে ডিউটি অনুযায়ী জ্বালানির পরিমাণ কিছুটা বাড়ানোও হয়। নির্বাচন কমিশনের বাস রিকুইজিশনে দৈনিক ১৯৫০ টাকা এবং চালক ও খালাসির দৈনিক খাওয়া-খরচের জন্য রোজ ১৭০ টাকা দেওয়া হয়। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ-সভাপতি সুরিজৎ সাহা ও ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, ‘এই আর্থিক বৈষম্য দূর করার কথা বলছি না। এই সময়ে এমনিতেই কম সংখ্যক বাস পথে নামছে। তার উপর রিকুইজিশনের মাধ্যমে পুলিশ ৮০০ বাস-মিনিবাস তুলে নিলে ক’টা বাস চলবে?’ সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে পুজোর পরিষেবা নিয়ে বেসরকারি যাত্রী পরিবহণের মালিকদের বৈঠকে পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতেই বাস মালিকরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, রিকুইজিশনে বাস তুলে নিলে চালকের দায়িত্ব তাঁরা নিতে পারবেন না। তাঁদের আর্জি, রুটের চালু বাসগুলো ধরবেন না, তাতে পুজোর মুখে পথে বাসের সঙ্কট দেখা দেবে, যাত্রী হয়রানি আরও বাড়বে।