কলকাতা

আরএসএস ও রাজ্যপাল আঁতাত নিয়ে স্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেশ করে বিস্ফোরক দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

এর আগে বহুবার রাজ্যপাল-আরএসএসের আঁতাত নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এবার একেবারে ‘তথ্য প্রমাণ’ সমেত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপালের একটি টুইটের স্ক্রিনশট নিয়ে পাল্টা টুইট করেন পার্থ। যেথানে দেখা গিয়েছে, একটি চিঠির ছবি রয়েছে। আর সেই চিঠিটি জনৈক আরএসএস সুধীর রাজ্যপালকে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের একবার রাজ্য বনাম রাজ্যপাল তরজা তুঙ্গে উঠেছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে ট্যাগ করে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ ও রিনা মিত্রর মত অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উপদেষ্টা করে কী লাভ হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ধনকর। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুর চড়ান রাজ্যপাল। প্রশাসনকে টুইটে খোঁচা দিতে থাকেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জবাব তলব করেছিলেন। তবে রাজভবনে এখনও অবধি কোনও রিপোর্ট জমা পড়ার খবর মেলেনি। এই টুইটে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ ও রিনা মিত্রকে নিয়োগের চিঠিও এনক্লোজ করেছিলেন রাজ্যপাল। আর সেই চিঠির ছবিতে দেখা যায়, সেটি আরএসএসের কোনও সদস্য তাঁকে পাঠিয়েছেন। এ নিয়েই রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই তড়িঘড়ি রাজ্যপালের টুইট থেকে আরএসএসের ওই নাম সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিন টুইটারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ওই চিঠির ছবিটি দিয়ে লেখেন, “কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল স্থানীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিজেপির জমানায় বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সরাসরি আরএসএসের নির্দেশে কাজ করেন।” পরে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে রাজ্যপালের উদ্দেশে পার্থ বলেন, “উনি আগে নিজের মাথা ঠিক করুন। কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলা বন্ধ করুন।”