স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল স্কুলেরই পিওন! তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের পর এমন অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে। কিশোরীর শারীরিক গঠনে পরিবর্তন আসার পর তার পরিবার জানতে পারে, কয়েক মাস আগেই সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ধর্ষণ করেছিল তার স্কুলেরই পিওন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে পুলিশ। রবিবার পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ফারুকাবাদে। অভিযুক্ত সরকারি স্কুলের পিওন। এই ঘটনায় স্থানীয় সরকারি স্কুলের পিওনের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নাবালিকা রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে গেলে পঙ্কজ ও অমিত নামে দুই ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায়। পঙ্কজ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়, অমিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কাউন্সিল স্কুলের পিয়ন ছাড়াও এই ধর্ষণে অভিযুক্তর সহযোগীর বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে যিনি কয়েক মাস আগে এই ঘটনার সময় অভিযুক্তকে কিশোরীর অপহরণ-ধর্ষণে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ । নির্যাতিতা জানিয়েছে, ধর্ষণের সময় পিওনের বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও তুলছিল। এমনকী ঘটনাটি বাইরে ফাঁস করলে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছিল তারা। এই ঘটনার পর পরিবারকে ভয়ে আর কিছু জানায়নি সে। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে দেখে মায়ের সন্দেহ হয়। তারপরেই ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার দুইজনের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কেয়ামগঞ্জ কোতোয়ালির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাম অবতার জানান, মেয়েটির প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। যোগীর পুলিশের দাবি মামলার তদন্ত চলছে।