সংসদের বাজেট অধিবেশনে বুধবার কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন তুলেছেন আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে। কেন এলআইসির টাকা আদানির শেয়ারে? স্টেট ব্যাঙ্কের থেকে কেন আদানিকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে? সেই সব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন রাহুল। বিদেশে আদানি গোষ্ঠীর লগ্নি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আদানিদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা। কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল। বলেছেন, ‘এটা ভারতের বিদেশনীতি নয়, আদানির বিদেশনীতি।’ বুধবার রাহুলের খোঁচার জবাব দিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময় বুঝিয়ে দিলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ-১ ও ইউপিএ-২ জমানায় দেশ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ জর্জরিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘২০১৪ সালের আগে যে দশক ছিল, তা শেষ দশক হবে। ২০৩০-এর দশক গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের দশক হিসেবে পরিচিত হবে। নাম না করেই রাহুলের আক্রমণের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। লোকসভায় মোদী বললেন, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যে ফারাক তৈরি হয়েছে, তা দেখে বিরোধীরা নিরাশ হয়ে পড়ছে। বিরোধীদের শান্তিতে ঘুমোতে পারছে না। সেই জন্যই এত সমস্যা বিরোধীদের। কী সেই ফারাক? তাও এদিন নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি কার্যত বেহাল হয়ে পড়েছিল বলেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের আর্থিক অবস্থা ধসে গিয়েছিল। দশ বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল।’