প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্দো-নেপালের সম্পর্কের ভীত হিমালয়ের মতোই মজবুত ৷ এই সম্পর্ক শুধু দুটি দেশই নয়, বিশ্বকেও সমৃদ্ধ করবে ৷ লুম্বিনিতে বৌদ্ধ কালচার এবং হেরিটেজ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সেখানেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারেন মোদি ৷ উল্লেখ্য, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে মাস তিনেক আগে ভারতে এসেছিলেন শের বাহাদুর দেউবা ৷ তাঁর সেই ভারত সফর দু-দেশের সম্পর্কে নয়া দিগন্ত এনে দিয়েছিল ৷ এদিন ২৫৬৬তম বৌদ্ধজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার অ্যান্ড মেডিটেশন হল-এ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সম্মেলনে প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখেন মোদি ৷ উপস্থিত ছিলেন দেউবা-ঘরণী ডঃ আরজু রানা দেউবাও ৷ মোদি বলেন, ‘‘বুদ্ধ মানবতার সম্মিলিত
বোঝাপড়ার মূর্ত প্রতীক ৷ তরাই সমভূমিতে অবস্থিত লুম্বিনি বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান, ভগবান বুদ্ধ সেখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । সেখানকার শক্তি আমাকে অন্যরকম অনুভূতি দেয় । দেখে খুব ভাল লাগল, আমি এই জায়গাটির জন্য ২০১৪ সালে যে মহাবোধি চারাটি উপহার দিয়েছিলাম, তা রীতিমতো গাছের আকার নিয়েছে ৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সারনাথ, বৌদ্ধগয়া এবং কুশিনগর থেকে নেপালের লুম্বিনি পর্যন্ত পবিত্র স্থানটি আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্য ৷ আমাদের একসঙ্গে এই ঐতিহ্যকে বিকশিত করতে হবে ৷ নেপালে লুম্বিনি জাদুঘর নির্মাণও দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার উদাহরণ । নেপাল ছাড়া আমাদের রামও অসম্পূর্ণ । আজ যখন ভারতে ভগবান শ্রী রামের একটি বিশাল মন্দির তৈরি হচ্ছে, নেপালের মানুষও সমান খুশি ৷’’