কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে শুক্রবার ফোন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই মাসের শেষের দিকে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হত্যাকাণ্ড নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের পরে নয়াদিল্লির সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের অটোয়ার ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয় এই আমন্ত্রণ। বহুপাক্ষিক বৈঠকের এক সপ্তাহেরও বেশি আগে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত পাঁচটি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা তা নিয়ে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে কূটনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা চলছিল। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে আমি আনন্দিত। তাঁর সাম্প্রতিক নির্বাচনী জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং এই মাসের শেষের দিকে কানানাস্কিসে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ‘মানুষে মানুষে গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ গতিশীল গণতন্ত্র হিসাবে ভারত ও কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে একসঙ্গে কাজ করবে। শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি।’ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কানাডার পক্ষ থেকে এই ফোনালাপের উদ্যোগ ছিল। একজন জানিয়েছেন, কানাডার মানুষ চায় জি-৭ সম্মেলনে ভারত থাকুক। সংশ্লিষ্টরা বলেন, কানাডা ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক ও অন্যান্য শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের একদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলেন কার্নি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কার্নি ও লি ‘সম্পৃক্ততার গুরুত্ব’ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো নিয়মিত করতে সম্মত হয়েছেন। গত ২৯ এপ্রিল কানাডার সাধারণ নির্বাচনের সাময়িক ফলাফলে লিবারেল পার্টির জয়ের কথা বলা হলে মোদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্নিকে অভিনন্দন জানান।


