দুষ্কৃতী রাকেশের প্ররোচনাতেই ক্ষেপে ওঠে জনতা
গতকাল জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়নিয়ম ভেঙেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান তিনি। ফলে তার যাতায়াতের পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। তিনি এও বলেন, কনভয় থেকেই বিজেপি কর্মী রাকেশ সিংহ তৃণমূল কর্মীদের অঙ্গভঙ্গি করে প্ররোচনা দেয়। এই রাকেশ সিংহের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। কীভাবে একজন অপরাধীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন নাড্ডা?’রাজ্যের শাসক দলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জে পি নাড্ডার নিরাপত্তায় ছিলেন ৪ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৮ জন ডিএসপি, ৮ জন ইন্সপেক্টর, ৩০ জন অফিসার, ৪০ জন র্যাফ, ১৪৫ জন কনস্টেবল ও ৩৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, জে পি নাড্ডার কনভয়ে ছিল প্রায় ৫০টির কাছাকাছি বাইক ও গাড়ি ছিল। অভিযোগ সেই মিছিল থেকে বিজেপির নেতা রাকেশ সিং প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ক্রিমিনাল কেস রয়েছে প্রায় ৫৯টি। সে গাড়ির দরজা খুলে নানা অঙ্গভঙ্গী করে।” ফলে রাকেশ সিংয়ের প্ররোচনায় যে গতকাল শিরাকোল ও দোস্তিপুরে অশান্তি শুরু হয় সেদিকে ইঙ্গিত করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ৩টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে উস্তি ও ফলতা থানা রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, “যেভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা অসাংবিধানিক। দেশে এমন কোনও আইন নেই যার দ্বারা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মুখ্যসচিব ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে ডেকে পাঠাতে পারে।” তবে প্রশাসনের দুই আধিকারিক আদৌ দিল্লি যাবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় থাকল। পালটা তৃণমূলের দাবি, এই চিঠি আসলে যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর বিরোধী। কেন বিজেপির নেতা এসে দুষ্কৃতী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেই প্রশ্ন তুলছে শাসক দল। কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ার ভুক্ত বিষয়। ফলে উত্তর দেওয়ার কোনও জায়গা এখন নেই।”
