সুইৎজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে গেল পর্তুগাল। এদিন রোনাল্ডোকে ছাড়াই খেলতে নামে পর্তুগাল। ফর্ম না থাকায় রোনাল্ডোকে বসিয়ে দেন কোচ। কিন্তু তাতে কোন প্রভাব পড়েনি পর্তুগালের খেলায়। দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন গনজালো রামোস। ম্যাচের ১৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে হোয়াও ফেলিক্সের ডিফেন্স চেরা পাসে প্রথম গোল পায় পর্তুগাল। গনজালো রামোস ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বাঁদিকের দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে গোলকিপারকে বোকা বানান। গোল খেয়ে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে সুইসরা। কিন্তু পর্তুগিজদের দারুণ রক্ষণভাগের কারণে গোল শোধ দিতে পারেনি তারা। উলটে ৩৩ মিনিটে আবার গোল খেয়ে বসে সুইৎজারল্যান্ড। কর্নার থেকে দারুণ হেডে গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার পেপে। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে সুইজারল্যান্ডের সাকিরি ও জাকা চেষ্টা করলেও তা থেকে গোল হয়নি। ৫০ মিনিটে তৃতীয় গোল দেয় পর্তুগাল। গোল করেন সেই গনজালো রামোস। দিয়াগো দালতের ক্রস থেকে বল পেয়ে দারুণ ফ্লিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই বেনফিকো তারকা। এরপর পর্তুগিজ ফুটবলাররা যেন গোলের নেশায় মেতে ওঠে। পাঁচ মিনিটের মাথায় চতুর্থ গোল দেয় পর্তুগাল। এবার গোল করেন লেফট ব্যাক রাফায়েল গুয়েরেইরো। ৫৮ মিনিটে গোলের ব্যবধান কমায় সুইৎজারল্যান্ড। শাকিরির কর্নার কিক থেকে গোল করেন ম্যানুয়েল আকানজি। ৬৬তম মিনিটে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন গনজালো রামোস। ৭৪তম মিনিট বদলি হিসেবে নামানো হয় রোনাল্ডোকে। মাঠে নেমে ৮৪ তম মিনিটে রোনাল্ডো একটি গোল করলেও বাতিল হয়। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে পর্তুগাল, কিন্তু তা থেকে গোল হয়নি। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে রাফায়েল লিয়াও প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৬-১ করেন।