জেলা

মন্ত্রীর আশ্বাসে উঠল ধর্মঘট, দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আলু ব্যবসায়ীদের

সরকারি আশ্বাসে ধর্মঘট উঠে গিয়েছে ৷ তবে সরকার তাদের দাবি মেনে না-নিলে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর সাফ জানালো পশ্চিমবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতি ৷ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেও 48 ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি । ফলে বুধবার রাত থেকে হিমঘর থেকে আলু বের করা হবে ৷ বৃহস্পতিবার সকালেই বাজারে পৌঁছে যাবে আলু । শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি । প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুত আছে । যদিও সরকারের দাবি, ছয় লক্ষ মেট্রিক টন আলু আছে । সারা রাজ্যের জন্য চার লক্ষ মেট্রিক টন আলুর প্রয়োজন । ফলে বাকি দুই লক্ষ মেট্রিক টন আলু যাতে ভিন রাজ্যে রফতানি করা যায় সেই আবেদন তারা বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে জানানো হয় । কিন্তু কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । তবে তিনি প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতিকে তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করার আবেদন জানান । অবশেষে সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আলু ব্যবসায়ী সমিতি ৷ সেই সঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সরকার ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ করে দিলে আরও কঠিন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে । পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি জগবন্ধু মণ্ডল বলেন, “সোমবার মন্ত্রী ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করলেও আমরা সেটা করতে পারিনি । কারণ, জেনারেল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত না-নেওয়া পর্যন্ত আমরা প্রত্যাহারের কথা বলতে পারিনা । মঙ্গলবার জেনারেল মিটিং এর সিদ্ধান্ত হয়েছে । সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা ভাবনা করে আমরা 48 ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবো । বুধবার রাত থেকে বাজারে আলু বের হবে ৷ সরকারি সিদ্ধান্ত মানা কিংবা না-মানা নয়, আমরা শুধু সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি সীমান্ত এলাকা আটকানোর জন্যই আলুর দাম বেড়ে গিয়েছে । সীমান্ত খোলা থাকলে এই সমস্যা হতো না ৷ চাহিদা ও জোগানের বিষয়টি আমরা সরকারকে বারবার করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি । কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি । অথচ, আলুর দাম যখন কমে যায় তখন আমাদের কেউ খোঁজ রাখে না । তখন আমরা আলুর দাম পাইনা । যারা সংরক্ষণ করে তারা সংরক্ষণের মূল্য পায় না । সরকার এখনও বেশ কিছুদিন সময় চাইছে ৷ সীমান্ত এলাকা কবে খোলা হবে, তা এখনও জানানো হয়নি । ফলে আমাদের লোকসান হবে । আমাদের স্টোর থেকে কোথাও 26, কোথায় 27 টাকা দামে আলু বের হচ্ছে । গুণগত মানের উপর আলুর দাম নির্ভর করে । আমরা 26, 27 কিংবা 28 টাকায় আলু দিলেও সেই আলু কেন 34 টাকায় বিক্রি হবে ? এটা কী করে সম্ভব ?”