যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর কসবার একটি স্কুলে। কসবা থানার সামনে পড়ুয়ার দেহ রেখে বিক্ষোভে শামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে অবরোধ চলে রুবি বাইপাস কানেক্টরে। রুবি থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত ব্যাহত হয় যান চলাচল। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। কার্নিশে হাঁটার সময় দুর্ঘটনাবশত নিচে পড়ে যায় দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। এরপর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পড়ুয়ার বাবা। শুধু তাই নয়, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিস। এদিন স্কুলে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। স্রেফ উপর থেকে পুতুল ফেলে নয়, বারান্দার রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে নিজের শরীর গলিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন ফরেনসিক টিমের এক সদস্য। দড়ি দিয়ে মাপা হয় দূরত্ব। রাতে ময়নাতদন্তের পর যখন পড়ুয়াদের দেহ আনা হয় বাড়িতে, তখন পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কসবা থানার সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রুবি বাইপাস কানেক্টরে শুরু হয় অবরোধ। শেষপর্যন্ত মৃতের বাবার সঙ্গে পুলিস কথা বলার পর অবরোধ ওঠে। থানার সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। আগামীকাল হবে শেষকৃত্য।