দেশ

আপাতত স্বস্তিতে রাহুল গান্ধি, জেলের সাজা স্থগিত রাখল গুজরাতের সুরাত আদালত

 ‘মোদি’ পদবি মন্তব্যের বিতর্কের মানহানি মামলায় বড় সড় স্বস্তি পেলেন রাহুল গান্ধি। বাড়ল জামিনের মেয়াদ। ১৩ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি সুরাত আদালতে। সুরাত নিম্ন আদালতের দেওয়া দুই বছরের জেলের সাজা স্থগিত রাখল সুরাত দায়রা আদালত। পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। আগামী ১৩ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজীব তনয়কে আদালতে সশরীরে হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার বছর আগে কর্নাটকের এক সভায় মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায়  রাহুলের বিরুদ্ধে ফোজদারি ধারায় মানহানি মামলা রুজু করেছিলেন গুজরাতের বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। ওই মামলায় গত ২৩ মার্চ সুরাত নিম্ন আদালতের বিচারক প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে দুই বছরের জেলের সাজা শোনান। পরের দিন নজিরবিহীন ত‍ৎপরতায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সাজা ঘোষণার ১১ দিন বাদে এদিন সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। দুপুর তিনটে নাগাদ বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে সঙ্গে নিয়ে আদালত চত্বরে পৌঁছন।  নিম্ন আদালতের সাজা খারিজ করার আর্জি জানান রাহুলের আইনজীবী আর এস চিমা। বিচারক জানান, অন্য পক্ষের বক্তব্য না শুনে কোনও আদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেশ মোদিকে হলফনামা জমা দিয়ে বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারক। রাহুলের নিয়মিত জামিন মঞ্জুর করার পাশাপাশি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত রাখার কথাও জানিয়েছেন বিচারক। 

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট তখন দোরগোড়ায়। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার চলছিল জোরকদমে। ২০১৯ সালে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন, ‘সব মোদীরা কেন চোর হয়’? এরপর মামলা গড়ায় আদালত।  রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিজেপি পূর্ণেন্দু মোদী। তাঁর অভিযোগ, গোটা মোদী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। সময় লাগল ৩ বছরেরও বেশি। সেই মামলার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে দোষী সাব্য়স্ত করে সুরাত আদালত। তাঁকে ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এমনকী, সাংসদ পদও খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর!