জেলা পুজো

 ৬২৯ বছরে পদার্পণ মাহেশের রথযাত্রার

আজ, শুক্রবার রথযাত্রা। ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ। পুরী থেকে দিঘা সব জায়গাতেই সাজ সাজ রব। মাহেশেও মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। হুগলির মাহেশের রথ ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন। প্রথম স্থানে রয়েছে পুরী। চলতি বছর মাহেশের রথযাত্রা ৬২৯ বছরে পা দিল। মাহেশের এই রথকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানা ইতিহাস। কথিত আছে, সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী পুরীর মন্দিরে গিয়েছিলেন জগন্নাথ দর্শনে। কিন্তু সেখান থেকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মনের দুঃখে ফিরে আসেন তিনি। এর পর তিনি স্বপ্নাদেশ পান গঙ্গায় ভেসে আসা দারু কাঠ দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করে পুজো করার। এখান থেকেই শুরু

হয় মাহেশের মন্দির তৈরির কাজ এবং রথযাত্রা। মাহেশের মন্দিরেও পুরীর মতই ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথকে। প্রায় ছয় শতকেরও বেশি সময় ধরে মাহেশে পুজিত হয়ে আসছেন জগন্নাথ। এখানে আগে কাঠের তৈরি রথ ব্যবহার করা হত। কিন্তু পরবর্তী কালে মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি লোহার রথেই রথযাত্রা হয় এই মন্দিরে। জানা গিয়েছে, মাহেশের রথের উচ্চতা ৫০ ফুট এবং ৯টি চুড়া রয়েছে। এ ছাড়াও রথে রয়েছে লোহার ১২টি চাকা এবং ২০০ গজের ম্যানিলা রোপ দিয়ে টানা হয় এই রথ। বর্তমানে এই রথের দেখাশোনা করেন কলকাতা শ্যামবাজারের বসু পরিবার।রথের একদম উপরে থাকেন জগন্নাথ। তিনি সোনার গয়না দিয়ে রাজার মতো সেজে মাসির বাড়ি যান। এই রথের বিশেষত্ব হলো কোনও ব্রেক থাকে না। ৫০ ফুটের বড় কাঠের বিম ব্যবহার করা হয় বেক হিসেবে।