রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে আজ ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। আজ থেকেই পুরীর রথযাত্রার শুরু। প্রাণের উৎসবে সামিল হতে পুরীতে আজ জনজোয়ার। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা বাঁধভাঙা আবেগ নিয়ে পুরীতে হাজির হয়েছেন। আজ রথযাত্রা। সাড়ম্বরে রথযাত্রা উৎসব পালনে মুখিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও দেশের একাধিক রাজ্য থেকে পুন্যার্থীদের ভিড় পুরীতে। প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথযাত্রা ঘিরে প্রবল উন্মাদনা সমুদ্র নগরীতে। ইতিমধ্যেই রথযাত্রা শুরুর আগের নানা রীতি-রেওয়াজ পালন হয়েছে পুরীর মন্দিরে। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথ শ্রীমন্দিরের বাইরে রাখা হয়েছে। আজ থেকে পুরীতে রথযাত্রা শুরু। প্রতিবারের
মতোই কড়া পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। পুরীর মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে গুণ্ডিচা মন্দির। কথিত আছে, এটিই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। পুরীর মন্দির থেকে রথ যাত্রা বেরিয়ে থামে এই গুণ্ডিচা মন্দিরেই। একটানা ৭ দিন এই গুণ্ডিচা মন্দিরেই বোন সুভদ্রা ও ভাই বলভদ্রকে নিয়ে থাকবেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর আবার তাঁরা ফিরে আসবেন পুরীর শ্রীমন্দিরে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম নন্দীঘোষ। যে দড়িটি দিয়ে প্রভু জগন্নাথের রথ টানা হয় তার নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। বলভদ্রের রথের নাম হল তালধ্বজ এবং এই রথের রশি বাসুকী নাগ নামে পরিচিত। অন্যদিকে, সুভদ্রা দেবীর রথের নাম দেবদলন, ও এই রথের রশি স্বর্ণচূড় নাগ নামে পরিচিত। তিনটি রথেই দেব-দেবীরা অধিষ্ঠান করেন বলে ধারণা ভক্তদের। রথের দিন এই তিনটি রথের রশি ছোঁয়া সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে বলে অটুট বিশ্বাস রয়েছে ভক্ত মনে।