বিনোদন

অবশেষে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পিঠ বাঁচালেন রূপঙ্কর বাগচী, ফেসবুক থেকে ডিলিট করলেন তাঁর ভিডিও

বিলম্বিত বোধোদয় রূপঙ্কর বাগচীর! বিখ্যাত গায়ক কেকে-কে নিয়ে নিজের বক্তব্য ফেসবুকে রাখার পর চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। এবার প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হল তাঁকে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখাতে পারলেন না। পালিয়ে যেতে হল তাঁকে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে ক্ষমা চেয়ে পিঠ বাঁচালেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক। তবে এদিন সংবাদিক বৈঠক থেকে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়ে গেলেন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন রূপঙ্কর বাগচী।তিনি জানান, ‘প্রথমেই প্রয়াত কেকে-র পরিবারের কাছে নিঃশর্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার যে ভিডিওটি গত ক’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও তার বাইরে এত বিরামহীন উত্তেজনার উপাদান হয়েছে, এখানে পৌঁছবার আগে সেটি আমি ফেসবুক থেকে ডিলিট করলাম। পরলোকগত গায়কের পরিবারের কারোর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমে তাঁদের আবার জানাচ্ছি যে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কেকে আজ যেখানেই থাকুন ,ঈশ্বর যেন ওঁকে শান্তিতে রাখেন। আমার সংগীত জীবনে এইরকম বিভীষিকার মুখোমুখি হতে হবে ভাবিনি। যেখানে ওড়িশায় বসে করা একটা ভিডিও পোস্ট এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যা আমার গোটা পরিবারকে ঠেলে দেবে চরম আতঙ্ক ,দুৰ্ভাবনা এবং মানসিক নিপীড়নের মধ্যে। যেখানে আমার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা রক্ষায় পাহারা দেবে টালা থানার পুলিস। নিয়ত হুমকি এসেই যাবে আমার স্ত্রী-র ফোনে। গায়ক হিসেবে দেশে-বিদেশে এত লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তাঁদের আবেগ অনুভব

আরও পড়ুন : আর চলবে না রূপঙ্কর বাগচীর গাওয়া ‘মিও আমোরের গান’, জিঙ্গেলটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেক প্রস্তুতকারী সংস্থা

করেছি এত বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে। স্বীকৃতি পেয়েছি নানান স্তরে। মুহূর্তের অসতর্কতা যে এমন গনগনে এবং মারমুখী আবেগ বয়ে আনবে কে জানতো ? এত ঘৃণা! এত  আক্রোশ! এত বিরুদ্ধতা –কিন্তু অনেকটাই তৈরি হল আমার বক্তব্য আমি ঠিকমতো গুছিয়ে বলতে না পারায়। প্রয়াত কেকে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিদ্বেষ নেই। থাকার প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু ওঁর কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ্য করে বলতে চেয়েছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্যও আপনারা একইরকম দরদ দেখান। ব্যক্তিগত ভাবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় গায়ক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত কোনও হতাশা নেই। কিন্তু বাঙালি গায়ক হিসেবে সমষ্টিগত বিপন্নতা রয়েছে। ইদানিং আরও বেশি করে বারবার মনে হয় দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতে যেভাবে তারা শিল্পীদের স্বার্থরক্ষার্থে ঝাঁপিয়ে পড়ে ,আমরা যেন সেটা করতে দ্বিধাগ্রস্ত। শিল্প -সাহিত্য -সংগীত সবেতেই  প্রাদেশিক পারফর্মার যেন কঠিন খাদের ধারে এক অস্তিত্বের সংকটে দাঁড়িয়ে। তাই আমি একার কথা বলতে চাইনি।একটা সমষ্টির কথা বলতে চেয়েছিলাম। একই সঙ্গে তাই আরও কিছু সহযোদ্ধার নাম করেছিলাম, যাদের ট্যালেন্ট আমার মতে জাতীয় পর্যায়ের। পরে মনে হয়েছে নামগুলো বলার আগে জিজ্ঞেস করে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আবার বলি এককভাবে ইস্যুটা দেখিনি। কেকে-র মতো ভারতবিখ্যাত পারফরমারের নামটা নিছক প্রতীক ছিল। নিছক উপলক্ষ্য। লক্ষ্য কখনো তিনি ছিলেন না।’ প্রশ্ন উঠছে, তাঁর এই কে কে-এর উদ্দেশ্যে বলা যদি প্রতীকী হয়ে থাকবে, তাহলে কী তিনি বলিউডের সব গায়ককেই এভাবে অপমান করতে চেয়েছেন। তাঁর এই বলিউডের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব কী শুধুই অর্থকরী সংক্রান্ত।