মহানন্দায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল একই পরিবারের ৩ ভাই ৷ রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাগুরা গ্রামে ৷ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ মৃত তিন কিশোর হল বিশ্বজিৎ চৌধুরী (১৩), আদিত্য চৌধুরী (১৩) ও সত্যজিৎ চৌধুরী (১২) ৷ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে বাড়িরই ৬ তুতো ভাই মহানন্দা নদীর টেকনা ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল ৷ হঠাৎ চোরা স্রোতে তলিয়ে যায় তিন ভাই ৷ তা দেখে বাকি তিনজন বাড়ি গিয়ে সবাইকে খবর দেয় ৷ পরিবারের লোকজন-সহ গ্রামবাসীরা নদীর ঘাটে দৌড়ে আসেন ৷ খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুখুরিয়া থানা ও এনডিআরএফ টিমকে ৷ তবে এনডিআরএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় মানুষজন নদীতে জাল ফেলে তিন ভাইকে উদ্ধার করেন ৷ সত্যজিৎকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে এবং বিশ্বজিৎ ও আদিত্যকে সামসী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকই তিন ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ মৃত বিশ্বজিৎ মাগুরা জুনিয়র হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত ৷ সত্যজিৎও একই ক্লাসের ছাত্র ৷ সে গাজোলের একটি স্কুলে পড়ত ৷ আদিত্য কালিয়াচকের একটি আবাসিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল ৷ সত্যজিতের বাবা গৌর চৌধুরী বলেন, “মাগুরা বাজারের আমার একটি দোকান আছে ৷ আজ ছেলে স্কুলে গিয়েছিল ৷ ওদের স্কুল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে ৷ রবিবার খোলা থাকে ৷ পুজোর পর আজই স্কুল খুলেছিল ৷ স্কুল থেকে ফিরে কখন যে ও নদীতে এসেছে, বলতে পারব না ৷ দোকানে আমাকে একজন খবর দেয়, আমার ছেলে নাকি নদীতে ডুবে গিয়েছে ৷ সে কথা শুনেই আমি দোকানের শাটার নামিয়ে এখানে চলে আসি ৷ ছেলের জামা, জুতো সব নদীর ধারে পড়ে রয়েছে ৷ মৃত তিনটে ছেলেই আমাদেরই পরিবারের ৷ ছেলে কোনওদিনও নদীতে স্নান করতে আসত না ৷ ও সাঁতারও জানত না ৷ আমাদের সব শেষ হয়ে গেল ৷”