দেশ

সুপ্রিমকোর্টে ধাক্কা খেল শুভেন্দু, নন্দীগ্রামের ভোট কারচুপি মামলা বাংলা থেকে সরানোর আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতে

সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা নন্দীগ্রাম ভোট গণনা মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই, এমনটাই রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে নন্দীগ্রাম ভোট গণনা সংক্রান্ত মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। “নিরপেক্ষ” বিচার চেয়ে রাজ্যের বাইরের যে কোনও হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এবং কলকাতা হাইকোর্টেই দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চালানোর কথা বলা হয়েছে। এমন সুপ্রিম রায়ে শুভেন্দুর যে মুখ পুড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সাফল্য নিয়ে ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সেই নজরকাড়া সাফল্যেও কাঁটা হয়ে বিঁধেছিল নন্দীগ্রাম। প্রথমে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর ঘোষণা করা হলেও কোনও এক অজানা কারণে পরে শুভেন্দু অধিকারীকর “জয়ী” বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। এরপরই নন্দীগ্রামের ভোট-গণনায় কারচুপি হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল। লোডশেডিং করে শুভেন্দু ভোটে জিতেছেন বলে দাবি তুলতে থাকেন তৃণমূল নেতারা। নন্দীগ্রামে ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টে গড়ায় সেই মামলা।তবে কলকাতা হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম ভোট মামলা যে বিচারপতির এজলাসে প্রথমবার ওঠে তাঁকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ওই মামলাটি “বিজেপি ঘনিষ্ঠ” বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ছিল। তবে বিতর্ক হওয়ায় শেষপর্যন্ত অন্য বিচারপতির বেঞ্চে মামলা পাঠানো হয়। নন্দীগ্রাম ভোট মামলা যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। এরপরই বেঁকে বসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ধারণা, কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া যাবে না। তাই দেশের অন্য যে কোনও হাইকোর্টে এই মামলা সরানোর দাবিতে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ভিন রাজ্যে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন শুভেন্দু। তখন সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে নথিভুক্ত হলেও শুনানিতে এবার শুভেন্দুর আর্জি খারিজ হয়ে গেল।