পটনায় গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় কলকাতা থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করল বেঙ্গল এবং কলকাতা এসটিএফ । মূলত কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা এই ঘটনায় বিহার পুলিশকে সাহায্য করেছে । এই নিয়ে পটনা গ্যাংস্টার খুন কাণ্ডে আটকের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ ৷ সকলকেই কলকাতা থেকে আটক করা হয়েছে ৷ বিহারে খুনের পর অভিযুক্তরা কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে ৷ শনিবার রাতে আনন্দপুর থানা এলাকার একটি গেস্ট হাউসে তল্লাশি অভিযান চালায় যৌথবাহিনী । যেখানে ছিলেন বিহার পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । পটনার এসপি (সেন্ট্রাল) দীক্ষা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, কোনও চেকিং ছাড়াই দুষ্কৃতীরা কীভাবে চন্দন মিশ্রর কেবিনে পৌঁছল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ অবশ্য এই ঘটনায় হাসপাতালের তরফে নিরাপত্তা নিয়ে তো গাফিলতি তো রয়েছেই ৷ যদি নিরাপত্তা থাকত তাহলে ওই পাঁচজন অর্থাৎ যাদের সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে তারা চেকিংয়ে ধরা পড়ত ৷লালবাজার সূত্রের খবর, ওই গেস্ট হাউস থেকে এক মহিলা-সহ মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে । মূলত বিহারের গ্যাংস্টারকে গুলি করে খুন করার সঙ্গে এই পাঁচজনের যোগ রয়েছে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই গেস্ট হাউস থেকে আটক করা ব্যক্তির পায়ে আঘাত লেগেছে এবং তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ গেস্ট হাউসের প্রত্যেকটি ঘরে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ৷ পুলিশের ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, এই পাঁচজনের মধ্যে চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় সরাসরি কেউ জড়িত কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না ৷ এদিন তাদের আটক করার পাশাপাশি একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। রাতেই ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্র কিছুদিন আগেই প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল । তারপরে সে বিহারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল । তার বিরুদ্ধে 24টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে । তার মধ্যে 12টি খুনের মামলা । পুলিশের নিরাপত্তায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল চন্দনের । বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে 7টায় দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ঢোকে । তারপর চন্দনকে গুলি করে খুন করার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় । দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছ’জন ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । পাঁচজন হাসপাতালে ঢোকে ও একজন হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছিল । পরে তদন্তে উঠে আসে তারা প্রত্যেকেই কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে। শনিবার সকালে নিউটাউন এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয় ৷ রাতে কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়।


