রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের ওই রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্টে হিংসার ঘটনায় একাধিক মহিলার নামও রয়েছে। সব মিলিয়ে ১০০ জনের বেশি নাম রয়েছে কমিশনের ‘দুষ্কৃতী’ বা ‘গুণ্ডা’র তালিকায়। এর মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী, একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক, কাউন্সিলর-সহ ১০ জনের বেশি ওজনদার নেতার নাম রয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছেন, আদালতের বিচার্য বিষয় নিয়ে কিছু বলবো না। তবে এটুকু বলবো উত্তরপ্রদেশের হিংসার ঘটনা ওদের চোখে পড়েনা। সেই সময় সেখানে কোনও মানবাধিকার কমিশনকে পাঠানো হয় না। বাংলার মানুষকে অপমান করতেই মিথ্যে অভি্যোগ সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, যে সমস্ত ঘটনা রাজ্যে ঘটেছে তার সবটাই ভোটের সময়। অথচ সেই সময় রাজ্যের হাতে কোনও ক্ষমতা ছিলো না। আর ভোটের আগের সমস্ত ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে এখন মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। কারা এই রিপোর্ট তৈরি করেছে তার সবটাই আমি জানি। তাদের নামও আমি জানি। কিন্ত কিছু বলবো না। মমতা এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, হেরেও ওদের লজ্জা নেই। হেরে যাওয়ার পরেও ক্রমাগত কুতসা ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু কিছু সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক উদেশ্যে বদনাম করানো হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টে পর রাজ্যের উপরে যে চাপ বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।পাশাপাশি বিজেপিও এবার মমতা সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করবে সেটাও স্পষ্ট।