বিধানসভা ভোটের আগে শিবাজীর মূর্তি ভাঙার ঘটনায় উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতি। মারাঠা অস্মিতা ও দুর্নীতির জোড়া ফলায় বিজেপি জোট সরকারকে বিঁধে পথে নামল বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র। রবিবার ‘জোডে মারো আন্দোলন’ (জুতো মারো আন্দোলন)-এ যোগ দিয়ে রাজ্যের সিন্ধে সরকারকে নিশানা করেছেন শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা উদ্ধব থ্যাকারে, এনসিপি (এসপি) নেতা শরদ পাওয়ার। অন্যদিকে, মূর্তি ভাঙার বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে বলে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধে। মূর্তি ভেঙে পড়ার প্রতিবাদে এদিন মুম্বইয়ে হুতাত্মা চক থেকে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া পর্যন্ত পথসভা করে এমভিএ নেতৃত্ব। গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার জনসভায় উদ্ধব বলেন, ‘মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনা অমার্জনীয় অপরাধ। এতে মারাঠা বীরের অপমান করা হয়েছে। বিজেপিকে ভারত ছাড়া করার দাবি নিয়েই আমরা এখানে হাজির হয়েছি। মহারাষ্ট্রের মানুষ বিজেপিকে কখনও ক্ষমা করবে না।’ ২৬ আগস্ট রাজকোট ফোর্টে ভেঙে পড়ে শিবাজীর মূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্বোধনের কয়েক মাস পরেই মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনায় একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এসে মূর্তি ভাঙার ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন মোদি। কিন্তু তারপরও বিরোধীরা আক্রমণের সুর নরম করতে নারাজ। এদিন উদ্ধব বলেন, মোদির ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেও ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, মূর্তি ভেঙে পড়া, রামমন্দির এবং নতুন সংসদ ভবনে বৃষ্টির জল ঢুকে পড়া মোদির গ্যারান্টিকেই উপহাস করছে। অন্যদিকে, পাওয়ার বলেন, সিন্ধুদূর্গের এই ঘটনা আসলে বিজেপি সরকারের দুর্নীতির একটা নমুনা। বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে মুখ খুলেছেন সিন্ধে। তিনি বলেছেন, বিরোধীরা রাজনীতি করছে। তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা এসবের জবাব দেবেন। ওঁদের জুতো দিয়ে পেটাবেন।