অবশেষে সব জল্পনার অবসান। কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ নেতা সিদ্ধারামাইয়াকেই বেছে নিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। আপাতত উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। আগামী ২০ মে, শনিবার শপথ গ্রহণ সমারোহের আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিনই নবগঠিত মন্ত্রীসভারও শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ বেঙ্গালুরুতে মন্ত্রীসভা গঠন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন কর্ণাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা। দক্ষিণী রাজ্যটিতে সম্প্রতি বিজেপিকে পরাস্ত করে বিরাট জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা কিছুতেই ঠিক করা যাচ্ছিল না। তার কারণ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির প্রধান দুই দাবিদারকে নিয়ে টানাপোড়েন ছিল বিস্তর। একদিকে কর্ণাটকে জয়ের অন্যতম কারিগর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলিত মুখ সিদ্ধারামাইয়া। দুই হেভিওয়েট নেতার সমর্থকরাই চেয়েছিলেন তাঁদের পছন্দের নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হতে সমান আগ্রহী ছিলেন দুই নেতাও। দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ভার ন্যস্ত করা হয় জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের উপর। এছাড়াও হাইকমান্ডের তরফে পাঠানো হয় বিশেষ পর্যবেক্ষক দল। কিন্তু ফলাফল বেরনোর পর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সমাধানসূত্র মিলছিল না। রাজস্থান কিংবা মধ্যপ্রদেশের মতো দল যাতে গোষ্ঠীদন্দ্বের জালে না জড়িয়ে পড়ে তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, হাইকমান্ডের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ ছিল। তবে প্রথম থেকেই সিদ্ধারামাইয়ার পাল্লাই ভারী ছিল। উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ডিকেকে রাজি করাতে তাঁর সামনে রাখা হয় একগুচ্ছ প্রস্তাব। যদিও তাতে প্রথমদিকে তিনি রাজি হননি বলে খবর। তবে শেষ অবধি তাঁকে রাজি করা গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সোনিয়া গান্ধীর মধ্যস্ততা ও নানা শর্তে শিবকুমার উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে খবর। যদিও ক্ষমতাভাগের ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে শেষ আড়াই বছর শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। আপাতত ২০ মে নতুন যাত্রা শুরু করবে কর্ণাটক সরকার।