রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। ফলে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সুপারিশে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব সামাল দেওয়া প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হবে। সোনালিদেবীর নামে আচার্য কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কারও কোনও আপত্তি ছিল না। তাই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এই নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সোনালিদেবী ইস্তফা দিয়ে রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য হবেন। অন্যদিকে, নিয়োগ বাকি থাকা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ‘যোগ্য’ প্রার্থী নির্বাচনের বিতর্ক এড়াতে আচার্য তথা রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে অধিকার কেড়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট। ‘সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটি’র চেয়ারম্যান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতকেই দেওয়া হল যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের দায়িত্ব। শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানিয়ে দিল, নামের আদ্যক্ষর দিয়ে তালিকা নয়। যোগ্য প্রার্থীর (মোস্ট সুইটেবল) ক্রমানুসারে তিনজনের নামের সুপারিশ করেই সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান সরাসরি সুপ্রিম কোর্টকে রিপোর্ট জমা দেবেন। সুপ্রিম কোর্ট সেই রিপোর্ট দেখে রাজ্য সরকার এবং আচার্যকে নির্দেশ দেবে। আদালতে উপস্থিত আচার্যর আইনজীবী জয়দীপ মজুমদার কিংবা রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি, কেউই সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি করেননি। আগামী চার সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি হবে।
রাজ্যের মোট ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বেছে নেওয়া ১৯টিতে কোনও আপত্তি করেননি আচার্য। কিন্তু বাকি ১৭ টির মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে পুরো প্যানেল নিয়েই আপত্তি রয়েছে। সাতটির মধ্যে প্যানেলের তিন নামের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যাঁকে রেখেছেন, সেই নামে সায় নেই আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের। তাঁর পছন্দ দ্বিতীয় জনকে। বাকি আটটির ক্ষেত্রে পছন্দ তৃতীয়জনকে। এমতাবস্থায় জটিলতা কাটাতে শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যানকেই যোগ্য ব্যক্তি বেছে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন।


