খেলা

আমি একসময় প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছি, এখন সেখান থেকে বেরিয়ে অন্য কিছু করতেই পারিঃ সৌরভ গাঙ্গুলি

বিসিসিআই-এর পদ হারিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গুলি। আজ দুপুরে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে হাজির ছিলেন ‘মহারাজ’। বন্ধন ব্যাংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন তিনি। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন যে, এবার অন্য কিছু তিনি করতেই পারেন। সৌরভ নতুন ইনিংসেরই ইঙ্গিত দিলেন নিজের শহরে বসে। জানিয়ে দিলেন প্রশাসকের চেয়ারে বসার থেকে ক্রিকেট খেলা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। সৌরভ এদিন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়ানডে ম্যাচের দিন জানতে পারি টেস্ট খেলব। তিন সপ্তাহ পর লর্ডসে ছিল সেই টেস্ট। আমি শতরান করি। পঙ্কজ রায়ের পর বাংলা থেকে দীর্ঘদিন কেউ খেলেননি। আমি অতীত নিয়ে ভাবি না। ভবিষ্যতে বাঁচি। সচিন-দ্রাবিড়রা একশোর বেশি টেস্ট খেলেছে। ওদের সঙ্গে আমিও খেলেছি। লর্ডসের সেঞ্চুরি করেছিলাম শনিবার। এত বছর পরেও ভুলিনি। স্কোরবোর্ডে তাকাইনি। প্রথমে ২০ ও তারপরে ৩০। আমি এভাবেই এগিয়েছি। বন্ধন ব্যাংকও এভাবেই এগিয়েছি। স্পোর্টস এ সাফল্য রাতারাতি আসে না। এক রাতে কেউ, চন্দ্রশেখর ঘোষ, নরেন্দ্র মোদী হতে পারেন না। আমার মনসংযোগ ছিল। পরের বল ও পরের রান নিয়ে ভাবতাম। এটা একটা পদ্ধতি। ওই ইনিংস আত্মবিশ্বাস দেয়। স্পোর্টসে প্রতিদিন শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। কেউ বঞ্চিত হবে। কেউ সফল হবে। কেউ ব্যর্থ হবে। কিন্তু নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। আমি একসময় প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছি। এখন সেখান থেকে বেরিয়ে অন্য কিছু করতেই পারি। আমি সিএবি ও বিসিসিআই সভাপতি হয়েছি ঠিকই। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনের ১৫ বছর সেরা। জানতাম দলে থাকতে গেলে রান করতে হবে। আমি মানি জীবনে বাঁচতে গেলে ধনকুবেরের মত অর্থ লাগে না।’