রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা ডিউটি নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৷ সকলের ক্ষেত্রে ডিউটির সময় সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হল নয়া নির্দেশিকায় ৷ পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে রাতের ডিউটিতেও বাধ্যতামূলকভাবে অন্তত একজন সিনিয়র চিকিৎসককে থাকতে হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানির সময় বারবার জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা 36 ঘণ্টা ডিউটিতে থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার ৷ সুপ্রিম কোর্টে দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্নও করেছিলেন ৷ তাই এবার আদালতের পর্যবেক্ষণকে মাথায় রেখে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন ৷
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী-
- এবার থেকে চিকিৎসকদের 12 ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে হবে না ৷ একসপ্তাহে 30 ঘণ্টার ডিউটিকে ছ’দিনে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ৷
- সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের সপ্তাহে ছ’দিন ডিউটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷
- রাতে একজন করে সিনিয়র ফ্যাকাল্টিকে উপস্থিত থাকতেই হবে হাসপাতালে ৷ অর্থাৎ এবার থেকে একজন সিনিয়র ফ্যাকাল্টির নাইট ডিউটিতে থাকা আবশ্যক হল ৷
অন্যদিকে, সরকারি চিকিৎসকরা কোন সময় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায় ৷ জানানো হয়েছে, সকাল 9টা থেকে বিকেল 4টের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা যাবে না ৷ এছাড়া আরও বলা হয়েছে, এবার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের এমার্জেন্সি, অন-কল, ওয়ার্ডের ডিউটির পাশাপাশি শিক্ষক চিকিৎসকের ভূমিকাও পালন করতে হবে ৷ হাসপাতালের প্রতিটি ইউনিটে সকাল ও সন্ধ্যায় অন্তর্বিভাগ ও এমার্জেন্সি পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে পরিদর্শনও বাধ্যতামূলক ৷