কলকাতা

দক্ষিণ কলকাতার নামী বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ

বেপাত্তা দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। স্কুলের সামনে পুলকার থেকে নামার পর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ মিলছে না। ১৪ বছরের ওই কিশোরী নেতাজিনগর থানার লায়েলকা এলাকার বাসিন্দা। মেয়ের সন্ধান না পেয়ে পাটুলি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে তার পরিবার। তদন্তে নেমে মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ। পরে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর স্মার্টফোন। আর তাতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। পুলিশ সূত্রের খবর, এক তরুণকে সঙ্গী করে দমদমগামী মেট্রো ধরতে দেখা গিয়েছে ওই কিশোরীকে। তাহলে কি ভালোবাসার টানেই সে ঘর ছেড়েছে? এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। মেয়ে যে নিখোঁজ, পরিবার তা জানতে পারে স্কুল ছুটির সময়। ছাত্রীর বাবাকে ফোন করে সেই খবর দেয় পুলকার কর্তৃপক্ষ। তারপরই তিনি থানার দ্বারস্থ হন। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘সকাল সওয়া ন’টা থেকে স্কুল শুরু হয় মেয়ের। ও নবম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন সকাল সওয়া আটটায় বাড়ির সামনে পুলকার আসে। এদিনও তাতে উঠে স্কুলের দিকে রওনা হয়েছিল ও। স্কুলে গিয়েই নামে। কিন্তু ভিতরে ঢোকেনি। তখনও আমরা কিছুই জানতাম না। দুপুর ৩টে নাগাদ নির্ধারিত সময়ে স্কুল ছুটি হয়। গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিল বাড়ি ফেরার পুলকার। তাতে সবাই উঠে পড়লেও দেখা যায় আমার মেয়ে ওঠেনি। পুলকার চালক তখন স্কুলে গিয়ে খোঁজ নেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানায়, ও তো আজ স্কুলেই আসেনি!’ নবম শ্রেণির সবকটি ক্লাসের রেজিস্টার খাতায় এদিন অনুপস্থিত ছিল ওই পড়ুয়া। একথা শোনার পর রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান পুলকার চালক। এরপরই তিনি নিখোঁজ পড়ুয়ার পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানান।  ছাত্রীর বাবার আরও দাবি, সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলকার চালকের থেকে খবর আসে। এরপর তাঁরা মেয়ের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেন। কিন্তু তা বেজে যায়। প্রাথমিকভাবে গল্ফগ্রীণ থানায় গোটা বিষয়টি জানান তিনি। ফোন লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায়, সেটি রয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের পাশে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পাটুলি থানায়। পুলিস গিয়ে স্মার্টফোনটি উদ্ধার করে। সেটি খোলাই ছিল। এরপর মেট্রো স্টেশন ও তার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, স্থানীয় এলাকায় এক তরুণের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে ওই ছাত্রীকে। ওই ছেলেটির সঙ্গেই সে দমদমের উদ্দেশে মেট্রো ধরে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কবি সুভাষ থেকে দমদম পর্যন্ত সমস্ত মেট্রো স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। তবে গভীর রাত পর্যন্ত নিখোঁজ পড়ুয়া কিংবা ওই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণ, কারও খোঁজ মেলেনি।