জেলা

বাবাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে, দাবি শুভ্রাংশু-র

প্রায় ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও বাবার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গেলেন না ছেলে শুভ্রাংশু রায়। পাশাপাশি একইভাবে মুকুল রায়কে নিয়ে নিজের দাবিতে অনড় রইলেন শুভ্রাংশু ৷ তাঁর দাবি, মানসিকভাবে অসুস্থ তাঁর বাবা ৷ সেই সুযোগ কিছু রাজনৈতিকদল নিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর ৷ বাবার চিকিৎসার প্রয়োজন ৷ ফের একবার বিজেপিতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পরই মুকুল রায়কে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এমনই দাবি করেছেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় ৷ পাশাপাশি তাঁর বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ শুভ্রাংশুর ৷সোমবার সন্ধ্যায় আচমকা দিল্লি উড়ে যান মুকুল রায় ৷ যা নিয়ে একের পর এক পরস্পর বিরোধী মন্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং শুভ্রাংশু রায়ের গলায় ৷ যেখানে শুভ্রাংশুর দাবি ছিল তাঁর বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ সেখানেই তৃণমূলের কটাক্ষ মুকুল রায় উচ্চ মার্গের রাজনীতিবিদ ৷ তবে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে খোদ মুকুল রায় বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি বরাবরই বিজেপিতে আছেন ৷ এমনকী তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি মুকুলের ৷ যা নিয়ে পালটা মন্তব্য শোনা গেল শুভ্রাংশুর গলায় ৷শুভ্রাংশুর দাবি বিজেপিতে ফেরার বিষয়ে মুকুল রায়ের বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত নয়। এদিন তিনি বলেন বাবা যা বলেছেন আমি শুনেছি। তাঁর শারীরিক এবং স্নায়বিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। এরপরই শুভ্রাংশু রায়ের অভিযোগ যাঁরা আমার বাবাকে তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন তাঁদের নিজেদের লজ্জিত হওয়া উচিত ৷ এখানেই শেষ নয় এদিন মুকুলপুত্রের দাবি তিনি মুকুল রায় অত্যন্ত অসুস্থ এবং ডিমেনশিয়া এবং পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন ৷ প্রসঙ্গত ২০২১ সালে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায় ৷ নির্বাচনের পর অবশ্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এদিন তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মুকুল ৷ শুভ্রাংশুর দাবি সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি ৷ যার প্রতিক্রিয়ায় মুকুলপুত্র বলেন আমি তৃণমূলের একজন অনুগত সৈনিক আছি এবং থাকব। পাশাপাশি শুভ্রাংশু রায়ের অভিযোগ বাবা দিল্লি যাচ্ছে শুনে এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগও জানানোর পরও তারা তাঁর বাবাকে ফেরাতে সাহায্য করেনি ৷ তবে পুলিশের মাধ্যমে বাবার সঙ্গে দু বার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি ৷”