ধর্ষণ হয়েছে কি না তা নির্ধারণ করতে টু ফিঙ্গার টেস্ট-কে নিষিদ্ধ বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই পরীক্ষা আসলে একজন মহিলার প্রতি অসম্মানজনক বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত৷ কীভাবে এতদিন ধরে এমন পরীক্ষা চলে আসছে, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়৷ একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের কড়া হুঁশিয়ারি, এবার থেকে কেউ এই পরীক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে৷ ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে একজন মহিলার কুমারিত্ব পরীক্ষা করার জন্য বহু ক্ষেত্রেই এই বিতর্কিত টু ফিঙ্গার টেস্ট করা হয়৷ এই পরীক্ষায় অভিযোগকারিণী বা নির্যাতিতার যোনিতে দু’ আঙুল ঢুকিয়ে যোনির মাংসপেশি কতটা প্রসারিত হচ্ছে, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ এই পরীক্ষার কোনও বৈঞ্জানিক ভিত্তি নেই বলে অভিযোগ৷ বহু দিন ধরে বিতর্কিত সেই পরীক্ষাকেই আজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট৷ ধর্ষণ মামলার সূত্রে এই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘একজন নির্যাতিতার অতীত যৌন জীবন কেমন ছিল, তা মামলার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ আজও এই পরীক্ষা চলছে, সেটাই দুঃখজনক৷’ নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন, এবার থেকে কেউ এই টু ফিঙ্গার টেস্ট করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ পাশাপাশি এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে এ বিষয়ে অবহিত করতে। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল পরীক্ষার পাঠ্যক্রম থেকেও এই এই টু ফিঙ্গার টেস্ট বিষয়টি বাদ দিতেও নির্দেশ রয়েছে আদালতের।