দেশ

তপশিলি জাতির ‘সাব-ক্লাসিফিকেশন’ করতে পারে রাজ্য, সুপ্রিমকোর্টের যুগান্তকারী রায়

তপশিলি জাতি বা তপশিলি উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজন বা ‘সাব-ক্লাসিফিকেশন’ করতে পারে রাজ্যগুলি। আজ সুপ্রিম কোর্টে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এমনই যুগান্তকারী রায় দিল। দেশে সামাজিক সমতা আনার পক্ষে এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চ ৬-১ ব্যবধানে এই রায়ের পক্ষে মত দেন। এর আগে ইভি চিন্নিয়ার মামলার রায়ে বলা হয়েছিল, রাজ্যগুলি তপশিলি জাতি বা তপশিলি উপজাতির মধ্যে সাব-ক্লাসিফিকেশন করতে পারে না। তবে জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই রায়কে খারিজ করে দিয়েছে। এদিকে এই বেঞ্চের জাস্টিস বেলা ত্রিবেদী অবশ্য বিপক্ষে রায় দেন। এর আগে ২০০৫ সালে তপশিলি জাতি এবং উপজাতির সাব-ক্লাসিফিকেশন নিয়ে অন্ধ্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন চিন্নিয়া। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে বলেছিল, সংবিধানের ৩৪১ নং ধারা অনুযায়ী, শিডিউল কাস্ট হল একটি সংগঠিত গোষ্ঠী তাই এর মধ্যে শ্রেণি ভাগ করা যায় না। তবে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ ১৯ বছর আগের সেই রায়কে খারিজ করল। এই বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি বিআর গভাই, বিক্রম নাথ, বেলা এম ত্রিবেদী, পঙ্কজ মিত্তল, মনোজ মিশ্রা এবং সতীশ চন্দ্র শর্মা। নিজের রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘গোটা শিডিউল কাস্ট সমজাতীয় শ্রেণিভুক্ত গোষ্ঠী নয়। এই আবহে তপশিলি জাতির উপ-শ্রেণি বিভাজন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪-র অধীনে অন্তর্ভুক্ত সমতার নীতি লঙ্ঘন করে না। এছাড়াও উপ-শ্রেণিবিভাগ সংবিধানের ৩৪১(২) অনুচ্ছেদও লঙ্ঘন করে না। এদিকে সংবিধানের ১৫ এবং ১৬ নং অনুচ্ছেদে এমন কিছুই নেই যা রাজ্যকে একটি জাতির সাব-ক্লাসিফিকেশনে বাধা দেয়।’ তবে জাস্টিস চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, এদিকে ন্যায়সঙ্গত তথ্যের ভিত্তিতেই সাব-ক্লাসিফিকেশন করতে হবে। নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে না রাজ্যগুলি।