যাদবপুরে দাঁড়িয়ে বামপন্থীদের বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসকে একমাত্র হারাতে পারে বিজেপি ৷ সেটা অনেক বামপন্থীই উপলব্ধি করতে পেরেছেন ৷ সেই কারণে তাঁরাও বিজেপিতে চলে এসেছেন ৷যাদবপুরে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে ৷ তাঁর সমর্থনে বৃহস্পতিবার বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা রানিকুঠিতে একটি জনসভা করে ৷ সেখানেই বক্তৃতা দিতে উঠে বামেদের সমালোচনা করেন শুভেন্দু ৷ তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিধানসভা ভোটে জয়ী করার নেপথ্যে ছিল সিপিএম ৷ ‘নো ভোটটু বিজেপি’ প্রচার করে আসলে তৃণমূলকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল বামেরা ৷ তিনি আরও দাবি করেন, তৃণমূলকে একমাত্র হারাতে পারে বিজেপি ৷ সেই কারণে অনেক বামপন্থীই এখন বিজেপিতে চলে এসেছেন ৷উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস বরাবর অভিযোগ করে যে বামের ভোট এখন রামে চলে গিয়েছে ৷ অর্থাৎ এতদিন যাঁরা সিপিএম তথা বামেদের ভোটার ছিলেন, তাঁরা এখন বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে ৷ শুভেন্দু অধিকারীর এ দিনের বক্তব্য অনেকটা তেমনই ৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের এতদিনের দাবি কি তাহলে সত্যি ?যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, যাদবপুর বরাবরই বামপন্থীদের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ৷ সেখানে 2011 সালের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রমরমা শুরু হলেও বামপন্থীদের প্রভাব প্রতিটি ভোটেই দেখা যায় ৷ সেটা মাথায় রেখেই এ দিন শুভেন্দু এই মন্তব্য করেছেন ৷ কারণ, তাঁর ভাষণে শুভেন্দু এ দিন যতটা সমালোচনা তৃণমূলের করেছেন, ঠিক ততটাই মুখর হয়েছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে ৷শুভেন্দু অধিকারী এ দিন সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে তোপ দাগেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে ৷ পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিজেপির ভোট কেটে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চায় সিপিএম ৷ সেই কারণে বয়স্ক নেতারা ভোটে লড়েন না ৷ বরং এগিয়ে দেওয়া হয় সিপিএমের তরুণ ব্রিগেডকে ৷ সিপিএমের তরুণ নেতা-নেত্রীরা বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে ৷ আর সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতারা জাতীয়স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে ৷ তাই তিনি তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম-কেও ভোট না দেওয়ার আবেদন করেন ৷