নির্বাচনের আগেই হিংসা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পিংলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী তথা বুথ কমিটি সদস্য শান্তনু ঘোড়ুইকে হত্যা করে চাষ জমিতে ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় আসে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল ৷ অভিযোগ করার পর নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ৷পাশাপাশি তিনি আধিকারিক অরবিন্দ মিনার সঙ্গেও কথাও বলেন ৷ যিনি সব রকম সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন শাসকদলকে ৷ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ক্যানিংয়ে বিজেপির একটা ছোট কর্মসূচি ছিল ৷ তার জন্য দলের কার্যকর্তারা সেখানে পতাকা লাগাচ্ছিলেন । কিন্তু তৃণমূলের শওকত মোল্লা এসে কার্যকর্তাদের শুধুমাত্র শারীরিক অত্যাচার নয়, হত্যা করার চেষ্টা করে । এই ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তার মধ্যে দু’জনের অবস্থা সংকটজনক ।তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের নবনিযুক্ত ডিজিপি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় দেখা করতে চেয়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিল । কিন্তু তাঁর অফিস থেকে জানানো হয় যে ছুটির দিন বলে তিনি দেখা করতে পারবেন না । জরুরি ভিত্তিতে দেখা করতে চাওয়া হলেও একই কথা জানানো হয় ৷ এই মর্মে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ৷ কারণ নির্বাচনের সময় মুখ্যসচিব, ডিজিপি কিংবা স্বরাষ্ট্রসচিবদের কোনও ছুটিছাটা থাকে না । সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেখা করতে পারতেন ৷ কিন্তু সেটাও করলেন না ৷ হয়ত অত্যাচারিণী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে তিনি এমনটা করছেন । তাই আমরা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম ।”হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “আমরা এবারে আর ছাড়ব না । একুশের নির্বাচনের পরে হয়েছিল কিন্তু আর নয় । পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে অন্যরা রুখে দাঁড়ালেও পুলিশ রুখে দাঁড়াতে পারছে না ৷ কারণ তাদের দূরদূরান্তে বদলি করে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে । এটা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাখা সংগঠন পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ড ৷ এই নিয়ে প্রয়োজন হলে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসেও যাবে বিজেপি । দাবি করা হবে যে ভবানী ভবনে পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ড 4 জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক ।”