সল্টলেকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেখানেই তিনি দাবি করেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে শতছিদ্রের মতো ৷ সেই পথেই পশ্চিমবঙ্গেই রোজ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ছে ৷ তাই বাংলায় কেউ নিরাপদ নয় ৷ বাংলাদেশ সীমান্তে কেন্দ্রীয় সরকার কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু ৷ এর দায় তিনি রাজ্যের সরকারের উপরই চাপিয়েছেন ৷ নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা ৷ সেখানে সীমান্ত নিয়ে একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় ৷ সেখানেই কাঁটাতারের বেড়ার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর কথায়, সীমান্তে এখনও পর্যন্ত 1647.446 কিলোমিটার বেড়া দেওয়া শেষ হয়েছে । এখনও বাকি 569.254 কিলোমিটার ৷ 11টা জায়গায় বিএসএফের ছাউনি করা হয়নি । একই সঙ্গে অনুপ্রবেশ বন্ধে রাজ্য সরকার ও পুলিশ বিএসএফের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই নেতা ৷ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার বিএসএফের (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী) সঙ্গে অসহযোগিতা করে চলেছে । রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে । পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে কোনোরকম সমন্বয় নেই । শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বিএসএফ যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের ধরে, পরে রাজ্য সরকার তাঁদের ছেড়ে দেয় ৷ এই নিয়ে কিছু তথ্য়ও তিনি তুলে ধরেন ৷ তাঁর দাবি, 2023 সাল থেকে বিএসএফ মোট 1454 জন নাগরিককে গ্রেফতার করেছে । 2024 এ আরও এক হাজারের উপর নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার এঁদের ছেড়ে দিয়েছে । তাই তাঁর দাবি, এই সরকার যা করছে, তাতে এই রাজ্যে আজ কেউ নিরাপদে নেই । যেকোনও জায়গায় বসে কেউ চাইলে অন্য জায়গার মানুষকে উড়িয়ে দিতে পারে । এটা কোন রাজ্য, সেই প্রশ্নও তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর বক্তব্য, এই রাজ্য কারও জন্য নিরাপদ নয় । তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই রাজ্যকে নিরাপদ করতে হবে । এছাড়াও একাধিক বিষয়ে তিনি সরব হন ৷ সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সমালোচনা করেনও তিনি ৷ পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের ভূমিকার সমালোচনা করেন ৷