লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ইস্যুতে শুক্রবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন তিনি। তালিকায় মমতা ছাড়াও আছেন পাঞ্জাবের ভগবন্ত মান, ওড়িশার মোহন চরণ মাঝি, কেরালার পিনারাই বিজয়ন, কর্ণাটকের সিদ্ধারামাইয়া, তেলেঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু। এছাড়া আগামী ২২ মার্চ চেন্নাইতে একটি বৈঠক ডেকেছেন স্ট্যালিন। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও। থাকবেন রাজ্যগুলির বিরোধী দল এবং বিজেপির বর্ষীয়ান নেতারা। এই বৈঠক থেকে যৌথ কর্মসূচি তৈরি করা হবে। শুক্রবার এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন স্ট্যালিন। তাঁর সাফ কথা, লোকসভার আসনের নতুন করে পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে কুঠারাঘাত। যেসব রাজ্য সফলভাবে পরিবার পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে, তাদের কাছে এটা শাস্তির নামান্তর। কারণ এর মাধ্যমে আসলে সংসদে তাদের কণ্ঠরোধ চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অন্যায় কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২০২৬ সাল থেকে নতুন আসন পুনর্বিন্যাস চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। আর এতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি। তাদের আশঙ্কা, এর ফলে লোকসভায় তাদের আসন একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। উল্টোদিকে সবথেকে বেশি লাভবান হবে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অনেক চেষ্টা করেও কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণের অন্য রাজ্যগুলিতে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারছে না বিজেপি। নয়া আসন পুনর্বিন্যাস কার্যকর হলে আগামী দিনে লোকসভায় পদ্ম পার্টির সুবিধা হবে।
