আজ দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কসবা ডিআই অফিস চত্বর। অভিযোগ, ঘটনায় জখম হন ছয় পুলিশ কর্মী। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের বার্তা দিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দিয়েছিলেন ৭ তারিখে চাকরিহারাদের পাশে আছেন। আমরা তাঁদের পাশে থাকার সমস্তরকম চেষ্টা করছি। ব্যবস্থা করছি। তা সত্ত্বেও কারও প্ররোচনায় হোক বা কিছু, এমন ঘটনা ঘটছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।’ শিক্ষকদের পাশে রয়েছে সরকার, এই আশ্বাস দিয়ে তিনি শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কথা ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, সেই কাজ চলছে। আইনানুগ ভাবে এগনো হচ্ছে। পিটিশনটি দাখিল করা হবে খুব শীঘ্রই। এই প্রক্রিয়াকালে সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, ‘আমরা একটা পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করেছি। যেখানে আমরা বলেছি, কাজ যেন চালিয়ে যেতে পারেন সকলে। রিভিউ পিটিশনের জন্যও যাচ্ছি। আইনগত যা বিষয়বস্তু আছে, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করব। তার মধ্যে যা হচ্ছে সেটা বাঞ্চনীয় নয়। আমরা আবার আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছি, আমরা ওদের পাশে আছি। ওদের কষ্ট বুঝতে পারছি। সবার পরিবার আছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচা আছে, সমস্ত মানবিক দিক খতিয়ে দেখে আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। শুধু এমন কিছু করবেন না যাতে শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।’ আইনের পথেই এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। তাই ধৈর্য রাখার বার্তাই এদিন দেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি তিনি এও মনে করেন, সকলকে সরকারের ওপর ভরসা রাখতে হবে। পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসের মাধ্যমে এগোতে হবে।’ যাঁরা এতকিছুর পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন, তাঁদের মুখ্যসচিব এদিন বাহবা জানান। বিশেষভাবে তাঁদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেক জায়গায় মিডিয়া মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষকরা বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন, কাজ করছেন। পড়াশোনা করছেন, তাঁদের অভিনন্দন।’ কসবার ঘটনা উল্লেখ করে পন্থ বলেন, ‘আজ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে অনেক জায়গায়। একজন সিনিয়র সার্জেন্ট জখম। পুলিশ পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকার সমাজে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, আমরা ওদের শ্রদ্ধা করি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। সেই ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি। কাউকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ করতে হবে। আর এটাতে কারও কোনও লাভ হচ্ছে না। কারও উস্কানিতে যেন আমরা না যাই। আইন হাতে নেওয়া উচিত নয় কোনওভাবেই।’ বক্তব্যের শেষে তিনি ফের মনে করিয়ে দেন, সরকার সকলের পাশে আছে।


