তিলজলা এলাকায় নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনার জেরে রেল অবরোধ বালিগঞ্জ স্টেশনে। রাস্তা ছেড়ে এ বার ট্রেন আটকে অবরোধে সামিল হন তিলজলার বাসিন্দারা। নিমিষে গোটা তিলজলা এলাকা সহ বন্ডেল গেট পার্ক সার্কাস ও বিস্তীর্ণ এলাকায় তান্ডব শুরু হয় উত্তেজিত জনতা একের পর এক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে দমকলের গাড়িও ভেঙে দিতে ইটপাটকেল ছড়া হয় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মধ্য কলকাতার ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রবিবার রাতে তিলজলা থানা এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগে আটক তিন স্থানীয়কে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া তিন জনের মধ্যে এক জন মহিলাও রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ওই তিন স্থানীয়কে ছেড়ে দিতে হবে। যতক্ষণ না ওই তিন স্থানীয়কে ছেড়ে দেওয়া হবে, ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে বলেও হুমকি দিয়েছেন অবরোধকারীরা। পাশাপাশি, অভিযুক্ত অলোক কুমারকেও তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার সকালে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান তিলজলার স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যেরা ছাড়াও রয়েছেন বহু স্থানীয় মানুষ। পিকনিক গার্ডেন-হাওড়া রুটের একটি বাস আটকে সেটির ছাদে উঠে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বুকে পোস্টার লাগিয়ে এবং চিৎকার করে স্লোগান দিতেও দেখা যায় তাঁদের। অনেকেই রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদে সামিল হন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শিশুর মৃত্যুতে দায়ীরা যতক্ষণ না উপযুক্ত শাস্তি পাবে তত ক্ষণ তাঁরা লাগাতার প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার রাতেও তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়রা। থানা লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট পাটকেল ছোড়া হয়।অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ তৎপরতা দেখালে শিশুটিকে বাঁচানো যেত বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশের দাবি, রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ অভিযোগ পাওয়ার পরই শিশুর খোঁজ শুরু হয়। মূল অভিযুক্তের আবাসনের ৩২টি ফ্ল্যাটে শিশুর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালায় তারা। অলোকের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকেই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়।তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, সন্তান লাভের আশায় তান্ত্রিকের কথা শুনে ওই সাত বছরের শিশুকে খুন করেছেন নিঃসন্তান আলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তান্ত্রিককে ধরতেও বিহারে কলকাতা পুলিশের একটি দল গেছে।