জেলা

মণিপুরে ডাবল ইঞ্জিনের নমুনা দেখছে দেশ, বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের

জ্বলছে মণিপুর। ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের সুশাসনের নমুনা দেখছে সারা দেশ। এভাবেই শাণিত কটাক্ষে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলায় ‘নবজোয়ার যাত্রা’ শেষে শুক্রবার তিনি পূর্ব বর্ধমান ঢোকেন। কেতুগ্রাম থানার পাঁচুন্দিতে ছিল এই জেলায় জনসংযোগ যাত্রার প্রথম জনসভা। সেখানে অভিষেক বলেন, ‘মণিপুরে এখন আগুন জ্বলছে। মানুষ ঘর থেকে বেরতে পারছে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গোটা রাজ্যে কার্ফু চলছে। ১০মিটার অন্তর আধা সামরিক জওয়ান মোতায়েন। মানুষ কথা বলতে পারছে না। ফোন করতে পারছে না। টিভি দেখতে পারছে না। এটাই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আসল ছবি।’ 
এদিন বীরভূম থেকে ফুঁটিসাঁকো হয়ে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে পৌঁছয় অভিষেকের যাত্রা। সেই পথের দু’ধারে এবং পাঁচুন্দির জনসভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় অভিষেক বিজেপির বিরুদ্ধে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন। কখনও মণিপুরের সাম্প্রতিক অস্থিরতা, কখনও রাজ্যের প্রাপ্য না দেওয়া নিয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। পঞ্চায়েতে দল কেমন মানুষকে প্রার্থী হিসেবে চাইছে, তাও স্পষ্ট করে দেন।  অভিষেক বলেন, ‘কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। বাড়ি তৈরির টাকা দিচ্ছে না। প্রাপ্য আদায়ের জন্য দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করব। পরিশ্রমের টাকা মানুষই আদায় করে আনবে।  কৃষি ভবনের সামনে আমি অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসব। আমাদের সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবলে বিজেপি ভুল করবে। ওরা ইডি, সিবিআই লাগিয়েছে। তাতে কাঁচকলা হয়েছে। আমাদের মেরুদণ্ড সোজা আছে।’ ৬ মাসের মধ্যে দিল্লি থেকে রাজ্যের প্রাপ্য ছিনিয়ে আনতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘এত কিছু করেও মা, বোনদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া আটকাতে পারবে না ওরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে টাকা দিচ্ছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকার আধার-প্যান সংযোগের  নামে মানুষের কাছ থেকে সেই টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে।’ পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অভিষেকের বার্তা, ‘আপনি উপকৃত হবেন, এমন প্রার্থীই নির্বাচন করুন। কোনও নেতার কথা ভাবার করার দরকার নেই। তিন মাস অন্তর কাজের পর্যলোচনা আমি নিজে করব।’ সব শেষে বিজেপিকে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘মনে রাখবেন, আপনাদের টেনে নামাতে মানুষের পাঁচ মিনিট সময়ও লাগবে না।’