আজ বেলা ১২টা নাগাদ সল্টলেকের EZCC-তে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পুজোর আয়োজনে করেছে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা এবং সাংস্কৃতিক সেল। বাবুল সুপ্রিয়োর গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পরই বক্তৃতা শুরু করেন মোদি।বক্তৃতার শুরুতেই বাংলায় ভাষায় দুর্গা এবং কালীপুজোর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষা এত মিষ্টি যে এই ভাষা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।। জানি আমার উচ্চারণে কিছু খামতি ছিল। তার জন্য মার্জনা করবেন।’ ভার্চুয়ালি ভাষণে মোদি বলেন, “দুর্গাপুজোর সময় গোটা দেশ বাংলাময় হয়ে যায়। সবাইকে দুর্গাপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই। বাংলার পবিত্রভূমিতে আপনাদের মাঝে এসে আমি ধন্য। বাংলার পবিত্রভূমিকে প্রণাম জানাই। উত্সবের এই উন্মাদনাই বাংলাকে চিনিয়ে দেয়।” করোনা সচেতনতার বার্তাও দেন মোদি। তিনি আরও বলেন, পুজোর আনন্দতেও মানতে হবে করোনা-বিধি। দুগজের দূরত্ব মানতে হবে। মাস্কও পরতে হবে।বাংলায় একাধিক মনীষীর প্রসঙ্গও মোদির বক্তৃতায় উঠে। তিনি মনে করিয়ে দেন, দুর্গাপুজো শুধুমাত্র বাঙালির নয়, সমগ্র ভারতবাসীর উৎসব। এই শুভদিনে বাংলার মনীষীদেরও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, উত্তমকুমারের নাম স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।মোদি বলেন, বাংলায় দুর্গাকে মেয়ে মনে করা হয়, এটাই আমাদের সমাজের আদর্শ। নমোর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাও উপকৃত হয়েছে। এদিন সল্টলেকে ইজেডসিসি-র পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতার শেষে মোদি বাংলায় বলেন, প্রতিবছর যেন আমরা এভাবেই পুজো করতে পারি। মায়ের কাছে আর্শীবাদও চান মোদি। জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী বলে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।