তৃণমূলের নতুন জেলাভিত্তিক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ করা হল । পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল যাত্রার পর, জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে যুব ও মহিলা সর্বস্তরের সংগঠনে বদল আনতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল । সেই মতো এবার শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতৃত্বের পরিবর্তিত তালিকা প্রকাশ করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তালিকা অনুসারে আলিপুরদুয়ারের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হলেন বিনোদ মিঞ্জ । কোচবিহারের দায়িত্ব পেয়েছেন পরিমল বর্মন। জলপাইগুড়ি রাজেশ লাকরা এবং দার্জিলিং হিলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দীপক প্রধানকে । দার্জিলিং-এর সমতলে দায়িত্ব পেয়েছেন নির্জল দে, উত্তর দিনাজপুরে শেখর দাস, দক্ষিণ দিনাজপুরে নামিজুর রহমান, মালদায় শুভদীপ সান্যাল, জঙ্গিপুরে আমিরুল ইসলাম, বহরমপুরে পার্থপ্রতিম সরকার, কৃষ্ণনগরের শশাঙ্কশেখর ঘোষ চৌধুরী, রানাঘাটে সনৎ চক্রবর্তী, দমদম ব্যারাকপুরে সোমনাথ সান্যাল, বারাসাতে তাপস দাশগুপ্ত, বসিরহাটে কৌশিক দত্ত, বনগাঁয় নারায়ণ ঘোষ, ডায়মন্ড হারবার যাদবপুরে শক্তিপদ মণ্ডল, সুন্দরবনে পরেশ রাম দাস । উত্তর কলকাতায় স্বপন সমাদ্দার ও দক্ষিণ কলকাতায় অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় । পূর্ব বর্ধমানে দলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, পশ্চিম বর্ধমানের মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটককে । বীরভূমে ত্রিদিব ভট্টাচার্য, বিষ্ণুপুরে সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । রাজনৈতিকভাবে শ্রমিক সংগঠনের এই রদবদলও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । এ দিন যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে পাঁচ সাংগঠনিক জেলায় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিকে বদল করা হয়েছে । অবশ্যই এই বদলের পেছনে কাজ করেছে তাঁদের পারফরম্যান্স । বেশ কিছুদিন ধরেই শ্রমিক সংগঠনের কিছু কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ আসছিল । তা নিয়ে অতীতেও দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল । শ্রমিক নেতাদের কাজকর্মে দলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছিল । এই অবস্থায় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের তালিকা তৈরি হয়েছে, সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, মেদিনীপুর পূর্ব বর্ধমান, রানাঘাট এবং সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের এ দিন বদলে দেওয়া হয়েছে । একইসঙ্গে পাহাড়েও নতুন করে শ্রমিক সংগঠনের শাখারও ঘোষণা করা হয়েছে এই তালিকা থেকে । মোটের উপর এই পরিবর্তন দলকে শুদ্ধিকরণেরই একটা প্রক্রিয়া বলে জানা যাচ্ছে ।